১৫০তম বার্ষিকীতে কলকাতা বন্দরের নাম বদল, নতুন নামের ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
আজ কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের ১৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে কলকাতার নেতাজি ইন্ডোরে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই সংস্থার ১৫০তম বার্ষিকীতে কলকাতা বন্দরের নাম বদলে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নামে নামাঙ্কিত করার ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী।
স্টেডিয়ামের বাইরে বিক্ষোভ
আজ প্রথমে বেলুড়মঠে স্বামী বিবেকানন্দের ১৫৭ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বক্তৃতা রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপর গঙ্গাপথে বেলুড় থেকে নেতাজি ইন্ডোরে স্টেডিয়ামে পৌঁছান প্রধান্মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের ১৫০তম বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। এদিকে ভিতরে মোদী ভাষণ রাখার সময় নেতিজি ইন্ডোরের বাইরে বিক্ষোভ জারি রাখে কংগ্রেসের ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ।
|
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য
আজ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'মা গঙ্গার সান্নিধ্যে গঙ্গাসাগরের কাছে এই ঐতিহাসিক প্রতীকের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে আমি সৌভাগ্যবান। আজকের দিন কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের জন্যে, এখানে কাজ করা লোকেদের কাছে আজকে খুব গুরুত্বপূর্ণ দিন। আজ তাদের ১৫০তম বার্ষিকীতে পোর্ট ট্রাস্ট ও তাদের কর্মীদের আমি সুভেচ্ছা জানাচ্ছি। পোর্ট ট্রাস্টের নামে ডাক টিকিট প্রকাশ হয়েছে। পাশাপাশি এই সংস্থার কর্মচারীদের জন্যে ৫০০ কোটি টাকার চেক সরকার দিয়েছে। পোর্ট ট্রাস্টের মাধ্যমে রাষ্ট্রসেবায় লিপ্ত মানুষ ও তাদের পরিবারকে আমি প্রনাম করছি।'
|
কলকাতা বন্দরের নাম বদলে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পোর্ট করা ঘোষণা
এরপরেই প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন, 'কলকাতা বন্দরের নাম আমি ডক্টর শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নামে নামাঙ্কিত করছি।' প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'হিন্দুস্তান এয়ারক্রাফ্ট ফ্যাক্টরি, চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ফ্যাক্টরি সহ বিভিন্ন উদ্যোগের পিছনে মূল ভূমিকা পালন করেছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।
|
বাবাসাহেব আম্বেদকরকেও স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী
পাশাপাশি বাবাসাহেব আম্বেদকরকেও স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের পাশাপাশি বাবাসাহেব আম্বেদকরকে মনে করতে চাইব। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এরা দুজন মিলে দেশের চেহারা বদলাতে সাহায্য করেছেন। এই দুইজন মিলেই দেশের নতুন সব প্রকল্পের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। বাবাসাহেব আম্বেদকর ১৯৪৪ সালে এই কলকাতাতেই এসে বলেছিলেন যে দেশের জলপথকে আরও দৃঢ় করে গড় তুলতে হবে। দেশের দুর্ভাগ্য যে সরকার থেকে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও বাবাসাহেব আম্বেদকর চলে যাওয়ার পর তাদের কোনও পরামর্শের উপর নজর দেয়নি তৎকালীন সরকার।'