৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারে সুদর্শনাই! সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ছবি হাতে মনোনয়ন দিলেন 'প্রার্থী' তনিমাও
৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারে সুদর্শনাই! সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ছবি হাতে মনোনয়ন দিলেন 'প্রার্থী' তনিমাও
কলকাতায় ফের একবার ভোটের দামামা। আগামী ১৯ ডিসেম্বর ভোট রয়েছে কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে। ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তিও হয়ে গিয়েছে। আজ বুধবারই মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। সেই মতো সকাল থেকে প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার কাজ চলছে। একই সঙ্গে পুরোদমে প্রচারের কাজও চলছে। তৃণমূল থেকে বিজেপি, অন্যদিকে কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টের প্রার্থীরা জোরদার প্রচার চালাচ্ছেন। কেউ কাউকে জায়গা ছাড়তে নারাজ। যদিও এই অবস্থায় উদ্বেগ বাড়াচ্ছে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল।
নির্দল হয়ে দাঁড়ালেন প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোন
কলকাতা পুর নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই কার্যত যথেষ্ট চাপে তৃণমূল শিবির। বিদ্রোহ ঠেকাতে একাধিক ওয়ার্ডে প্রার্থী বদল করা হয়েছে। এমনকি খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছের প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোনকে টিকিট দিয়েও পিছিয়ে আসতে হয়েছে শাসকদলকে। শেষ মুহূর্তে ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী করা হয়েছে বিদায়ী কাউন্সিলার সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়কে। আর এই সিদ্ধান্তে তৃণমূলের উপরে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন তনিমা। শুধু তাই নয় দাঁড়ালেন নির্দল হয়ে।
দাদার ছবি হাতেই মনোনয়ন জমা দিলেন বোন
প্রার্থী তালিকাতে নাম নেই! আর তা জানার পরেই বিদায়ী কোঅর্ডিনেটর সুদর্শনা মুখোপাধ্যায় দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূল সভাপতির অফিসে গিয়ে ধরনায় বসেন। তাঁকেই ওই ওয়ার্ডে প্রার্থী করতে হবে। আর এই দাবিতেই চলে বিক্ষোভ। চরম অস্বস্তিতে পড়ে যায় তৃণমূল নেতৃত্ব। যার জেরে রবিবার রাত থেকে তনিমা চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। শুধু তাই নয়, তৃণমূল রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূল জেলা সভাপতি দেবাশিস কুমারকে তনিমা চট্টোপাধ্যায়ের প্রতীক ফিরিয়ে নিতে বলেন। এরপর থেকে তৃণমূলের তরফে কেউ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেনি বলে অভিযোগ। আর এরপরেই ৬৮ নম্বর অয়ার্শে নির্দল হয়েই প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত। আর এরপরেই আজ বুধবার প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ছবি হাতেই মনোনয়ন জমা দেন তনিমা দেবী। ফলে রাজ্যের মন্ত্রীর খাসতালুকে নতুন করে জটিলতা।
মমতার ভাতৃবধুর উদ্বেগ বাড়ালেন রতন মালাকার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের ওয়ার্ড ৭৩ নম্বর। এবার সেখানেই বিদায়ী কাউন্সিলার রতন মালাকারকে টিকিট দেয়নি তৃণমূল। ওই ওয়ার্ডে প্রার্থী করা হয়েছে ভাতৃবধু কাজরি বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর তাতেই বিদ্রোহী বিদায়ী কাউন্সিলার রতন মালাকার। তিনি দীর্ঘদিনের কাউন্সিলার ছিলেন ওই ওয়ার্ডের। একবার ৭১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু এবার দল তাঁকে প্রার্থী না করাতেই বিদ্রোহ। আর এরপরেই নির্দল হয়ে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত। ইতিমধ্যে মনোনয়নও জমা দিয়ে দিয়েছেন তিনি।
ভোট কাটাকাটি হওয়ার আশঙ্কা
পুর নির্বাচনের আগে প্রবল চাপে তৃণমূল শিবির। প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার সময় থেকেই কোন্দল শুরু হয়েছে। শোনা যায়, প্রার্থী চূড়ান্ত করতে নাকি প্রশান্ত কিশোরের কথা মানা হয়নি। যে কয়েকটি ক্ষেত্রে বিদায়ী কাউন্সিলারদের বদল করা হয়েছিল সেখানেও শেষমেশ তাঁদের প্রার্থী করেছে। সেখানে দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে এসেছে তৃণমূলের একাধিক নেতার ক্ষোভ। যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নির্দল হয়েও দাঁড়িয়েছেন। এই অবস্থায় তৃণমূলের ভোট কাটাকাটির আশঙ্কা রাজনৈতিকমহলের। এমনকি ভোট কাটাকাটীতে বিরোধীরা সুবিধা পেতে পারেন বলেও জানা যাচ্ছে। যদিও তৃণমূলের দাবি, এটা কোনও ফ্যাক্টার নয়। মানুষ তাঁদের পক্ষেই রয়েছে।