রাজ্যের শ্মশানে সক্রিয় 'তোলা চক্র'! রাজ্যকে তুলোধনা হাইকোর্টের
রাজ্যের শ্মশানে সক্রিয় 'তোলা চক্র'! রাজ্যকে তুলোধনা হাইকোর্টের
'রাজ্যের শ্মশানগুলিতে এখন টাকা তোলার সংগঠিত চক্র তৈরি হয়েছে! এ বিষয়ে রাজ্যের নজর দেওয়া উচিত।' মৃতদেহ সৎকার নিয়ে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় এমনই মন্তব্য করে রাজ্যকে তুলোধনা করল কলকাতা হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের প্রশ্নবানে জর্জরিত রাজ্য সরকার। রাজ্য কে উদ্দেশ্য করে হাইকোর্ট জানতে চেয়েছে, রাজ্যের কাছে জানতে চাওয়া হয়, করোনায় মৃতের দেহ কিভাবে দাহ করা হচ্ছে? রাজ্যের নির্দেশ অনুযায়ী সঠিক নিয়মে, সম্মানের সঙ্গে মৃতদেহ দাহ করা হচ্ছে কিনা, এছাড়াও সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী মৃতদেহের পরিবারকে মৃতের মুখ দেওয়া হচ্ছে কিনা, এবং চুল্লিতে ঢোকানোর সময় পরিবার মৃতের মুখ দেখতে পারছে কিনা তাও জানতে চাওয়া হয় রাজ্যের কাছে।
আগামী ২৫ আগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানিতে এই সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে হবে রাজ্যকে।
রাজ্যে
করোনায়
মৃতের
দেহ
সৎকার
সঠিক
নিয়ম
মেনে,
সম্মানের
সঙ্গে
করা
হচ্ছে
না।
এই
অভিযোগে
দায়ের
হওয়া
জনস্বার্থ
মামলা
দায়ের
হয়
কলকাতা
হাইকোর্টে।
মামলাকারীর
আইনজীবী
দাবি
করেন,
মৃতদেহ
দাহ
করার
জন্য
পরিবারের
কাছ
থেকে
বিরাট
অঙ্কের
টাকা
দাবি
করা
হচ্ছে।
সম্প্রতি
হাওড়ার
একটি
ঘটনায়
মৃতের
পরিবারের
কাছ
থেকে
৫২
হাজার
টাকা
দাবি
করা
হয়েছিল
বলে
তিনি
আদালতে
জানান।
এছাড়াও তিনি দাবি করেন, বিভিন্ন ধর্মের মতে সৎকারের জন্য আলাদা আলাদা টাকা চাওয়া হচ্ছে। অস্থি দিলে তার জন্য আলাদা টাকা চাওয়া হচ্ছে। বিভিন্নভাবেই এই টাকা আদায় করছে একটি চক্র। রোগী মারা গেলেও তার সৎকার হচ্ছে কিনা জানতে পারছে না পরিবার।
এমনকি পরিবারের লোকজনকে মৃতের শংসাপত্র পেতেও চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বলে আদালতকে জানান তিনি। এদিন বারাসাতের একটি ঘটনা উল্লেখ করে তিনি জানান, 'হাসপাতালে কাছে শংসাপত্র চাওয়া হলেও হাসপাতাল তা দেয়নি। পরে পরিবারের তরফে থানায় লিখিত অভিযোগ জানানোর পর তা দেওয়া হয়।
'
এছাড়াও
তার
আরও
দাবি,
'রাজনৈতিক
নেতা
এবং
সাধারণ
মানুষের
ক্ষেত্রে
করোনার
মৃত
দেহ
দেওয়া
নিয়ে
আলাদা
আলাদা
নিয়ম
দেখা
যাচ্ছে।
যেখানে
সাধারন
মানুষের
ক্ষেত্রে
এক
নিয়ম,
আর
রাজনৈতিক
নেতাদের
ক্ষেত্রে
অন্য
নিয়ম।
করোনায়
মৃত্যু
হলে
তাদের
পরিবারের
কাছে
মৃতদেহ
দেওয়া
হচ্ছে।
কিন্তু
সাধারণ
মানুষের
থেকে
বঞ্চিত
হচ্ছেন।
সম্প্রতি
পানিহাটির
প্রাক্তন
চেয়ারম্যানের
ঘটনা
তুলে
ধরেন
আদালতে।
কিন্তু
মামলাকারীর
আইনজীবী
বক্তব্যের
প্রেক্ষিতে
কোন
উত্তর
দিতে
পারেননি
রাজ্যের
সরকারি
কৌঁসুলিরা।
তাই
এ
প্রসঙ্গে
রাজ্যের
কাছে
বিস্তারিত
রিপোর্ট
চেয়ে
পাঠিয়েছে
হাইকোর্ট।
রেড রোডে আড়ম্বরহীন ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন