এক শিক্ষাকর্মীর সুদ সহ বকেয়া পেনশন মেটানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
এক শিক্ষাকর্মীর মৃত্যুর পর তার পরিবারকে পেনশন দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। শুক্রবার ৮ শতাংশ সুদ সহ বকেয়া ১০ বছরের বকেয়া পেনশন মিটিয়ে দেওয়ার জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ আগামী ৮ সপ্তাহের মধ্যে গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দেয়।
এদিন মামলার শুনানিতে মৃত শিক্ষাকর্মীর মেয়ে কুমারী চম্পা রায় চৌধুরীর আইনজীবী ফিরদৌস শামীম আদালতে জানান, 'রণধীর রঞ্জন রায় চৌধুরী উত্তর ২৪ পরগণার সোদপুর থানা এলাকার শুখচর শতদল বালিকা বিদ্যাভারতীর ক্লার্ক ছিলেন। ১৮৮৫ সাল থেকে পেনশন পেয়ে আসছেন তিনি। কিন্তু ১৯৯৭ সালের ডিসেম্বরে তিনি মারা যাওয়ার পর থেকে তার পরিবারের পেনশন দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এখন আর্থিক অনটনে নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা রণধিরের পরিবারের। তাঁর নেয়ে অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালান।
আইনজীবীর
দাবি,
তিনি
মারা
যাওয়ার
পর
রাজ্য
স্কুল
শিক্ষা
দফতরের
যুগ্ম
সম্পাদকের
কাছে
পেনশনের
জন্য
লিখিত
আবেদন
জানায়
তার
পরিবার।
২০১১
র
জুন
মাসে
সেই
আবেদন
এসে
পৌঁছায়
ডিআই
এর
কাছে।
কিন্তু
তার
পর
থেকে
আর
কোনও
অগ্রগতি
নেই।
এমনকি
এনিয়ে
একাধিকবার
চিঠিচাপাটি
পাঠিয়েও
কাজ
হয়নিও
বলে
দাবি
পরিবারের।
তাই
কলকাতা
হাইকোর্টের
দ্বারস্থ
হয়
তাঁর
পরিবার।
আইনজীবী
আরও
জানান,
২০১৮
সালে
প্রতীক
প্রকাশ
বন্দোপাধ্যায়
পেনশন
মিটিয়ে
দেওয়ার
নির্দেশ
দিলেও
আদালতের
নির্দেশ
মানা
হয়
নি।
এই
সংক্রান্ত
আদালত
অবমাননা
র
একটি
মামলা
ও
বিচারাধীন
রয়েছে
হাইকোর্টে।
এপ্রসঙ্গে রাজ্যের বক্তব্য, তিনি ১৯৯৭ সালে মারা গেলেও মিশনের জন্য আবেদন এসেছে ২০১০ সালে। তাই তার পরিবারের আবেদন মানা হয়নি।