টেট পরীক্ষা নিয়ে বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের, কী নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
টেট পরীক্ষা নিয়ে বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের, কী নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
টেট
পরীক্ষা
নিয়ে
বড়
নির্দেশ
দিল
কলকাতা
হাইকোর্ট।
বিচারপতি
অভিজিৎ
গঙ্গোপাধ্যায়
জানিয়েছেন,
২০১৪
এবং
২০১৭-র
লক্ষাধিক
অনুত্তীর্ণ
চাকরিপ্রার্থী
টেট
পরীক্ষায়
বসতে
পারবেন।
সংরক্ষিত
বিভাগের
চাকরি
প্রার্থীরা
এই
সুযোগ
পাবেন
বলে
জানিয়েছেন
বিচারপতি
অভিজিৎ
গঙ্গোপাধ্যায়।
টেট নিয়ে বড় নির্দেশ
লক্ষাধিক টেট অনুত্তীর্ণকে টেট পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুধু মাত্র ২১ জন মামলাকারী নন এবার টেট পরীক্ষায় বসতে পারবেন ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের টেট অনুত্তীর্ণরা। তবে কেবল সংরক্ষিত আসনের জন্যই পরীক্ষা দিতে পারবেন তাঁরা। ২০১৪ এবং ২০১৭-র টেটের যে চাকরিপ্রার্থীরা পরীক্ষায় ৮২ পেয়েছেন, তাঁরা সবাই অংশ নিতে পারবেন পরীক্ষায়।
গতকালের নির্দেশ
গতকাল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন মামলাকারী ২১ জন অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী টেট পরীক্ষায় বসতে পারবেন। গতকাল মামলাকারীরা অভিযোগ করেছিলেন ২০১৪ এবং ২০১৭-র টেটে বহু চাকরিপ্রার্থী ১৫০ এর মধ্যে ৮২ নম্বর পেয়েছেন। অর্থাৎ তাঁরা গড়ে ৫৪.৬৭শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। নিময় অনুযায়ী দশমিকের সংখ্যায় ৫৪ শতাংশ নম্বর পেরিয়ে গেলে সেটাকে ৫৫ শতাংশ হিসেবে ধরতে হবে। সেই সঙ্গে সেই পরীক্ষায় ৮টি প্রশ্ন ভুল ছিল। তার মামলাও চলছে। কাজেই তাঁদের আবারও পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিতে হবে।
প্রাথমিক নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন
কয়েকদিন আগেই করুনাময়ীতে টেট উত্তীর্ণদের বিক্ষোভ চরমে উঠেছিল। রাস্তায় বসে বড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছিলেন তাঁরা। তিনদিন ধরে অনশন করেন পরীক্ষার্থীরা। শেষে হাইকোর্টের ১৪৪ ধারা নির্দেশের পরেই পুলিশ রাতারাতি আন্দোলনকারীদের সেখান থেকে তুলে দেয়। জোর করে তাঁদের তুলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মামলাকারীরা অভিযোগ করেছেন ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষায় তাঁরা উত্তীর্ণ হলেও তাঁদের চাকরি দেওয়া হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন চাকরি দেওয়ার কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি তিনি পূরণ করেননি।
দাবি মানতে নারাজ পর্ষদ
চাকরি প্রার্থীদের দাবি মানতে নারাজ মদ্য শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদ সভাপতি সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছিলেন ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণরা পর পর ২ বার ইন্টারভিউতে বসার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু তখন তাঁরা চাকরি পাননি। েখন ইন্টারভিউ না দিয়ে নিয়োগ পত্র দাবি করেছেন তাঁরা। েই দাবি মেনে নেওয়া যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল।