করোনা সঙ্কটে রাজ্যে বেড়েই চলা অপরাধ নিয়ে সিট গঠন হাইকোর্টের
করোনা সঙ্কটে রাজ্যে বেড়েই চলা অপরাধ নিয়ে সিট গঠন হাইকোর্টের
করোনা পরিস্থিতিতে ও লকডাউন চলাকালীন রাজ্যে তুলনামূলকভাবে বেড়ে যাওয়া বাল্যবিবাহ, নারী ও শিশু পাচার এবং যৌন হেনস্থার ঘটনায় তদন্তে গতি আনতে তিন সদস্যের সিট গঠনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
এই সংক্রান্ত তদন্তের গতি বাড়াতে এই সিট নিয়মিত যোগাযোগ রাখবে প্রতিটি জেলার পুলিশ সুপারদের সঙ্গে এবং নিয়মিত রিপোর্ট জমা দেবে আদালতে।
সম্প্রতি এক স্বতপ্রণোদিত মামলায় সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট দিয়ে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন জানিয়েছিল করোনা, লকডাউন ও আমফান পরবর্তী সময়ে এ রাজ্যেপ্রায় ১৩৬ জন নাবালিকার বিয়ে হয়েছে। এছাড়াও শিশু পাচার, শিশু শ্রম ও নারী নির্যাতনের হার ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে। এই বিষয়ে প্রত্যেক রাজ্যের হাইকোর্ট কে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই কলকাতা হাইকোর্টের দায়ের করা স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত পরামর্শ অনুযায়ী তিন সদস্যের সিট গঠনের নির্দেশ দেয়। গঠিত সিটে এই তিন সদস্যের তালিকায় রয়েছেন রাজ্য পুলিশের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল (প্ল্যানিং) অজয় রানাডে, কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার দময়ন্তী সেন এবং রাজ্য তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির ডেপুটি ইন্সপেক্টর ড. প্রণব কুমার।
এদিন আদালতে রিপোর্ট পেশ করে রাজ্যে এডভোকেট জেনারেল আদালতে জানান, উত্তর দিনাজপুর দক্ষিণ দিনাজপুর সহ নদীয়া মুর্শিদাবাদ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা র হারিয়ে যাওয়া বা পাচার হওয়া শিশু উদ্ধার উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন অধিকাংশ ক্ষেত্রে অনেককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জবানবন্দি নেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, দায়ের করা স্বতপ্রণোদিত মামলায় রাজ্যের ঘটে যাওয়া বাল্যবিবাহ, নারী ও শিশু পাচার এবং যৌন হেনস্থার ঘটনায় উদ্বিগ্ন কলকাতা হাইকোর্ট। এখনো পর্যন্ত লকডাউনের মধ্যেই বেলঘড়িয়ার ধ্রুব আশ্রম থেকে ১৩ জন নাবালিকা নিখোঁজ হয়ে যায়। তাদের মধ্যে দুজনকে পাওয়া গেলেও বাকিদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে পুলিশ কি করেছে, তা জানানোর পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার এক নিখোঁজ নাবালিকার বিষয়ে পুলিশ ন বছর ধরে তার কোনও হদিস পেলনা কেন তা নিয়েও ক্ষোভ উগড়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। এছাড়াও জেলা জাস্টিস জুভেনাইল বোর্ডের জেলা ভিত্তিক পরিকাঠামো নিয়েও অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট। ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, শিশুদের বিচারের পরিকাঠামো এতো দুর্বল !
অন্যদিকে, কোচবিহারের যে ৪০ জন নাবালিকাকে পুলিশ উদ্ধার করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে, তাদের অবস্থান সম্পর্কেও আদালতকে অন্ধকারে রেখেছে রাজ্য। এছাড়াও কোচবিহারের পার্শ্ববর্তী জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, মালদা, কালিংপংয়ের মতো জেলাগুলিতে নারী পাচারের অবস্থান কি, তা নিয়েও জানতে চেয়ে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পার্সেল ফেটে বোমাতঙ্ক ছড়ায় শিলিগুড়িতে