'দুর্নীতির শিকড় অনেক গভীরে', এসএসসির চেয়ারম্যানের কাছে হলফনামা তলব হাইকোর্টের
'দুর্নীতির শিকড় অনেক গভীরে', এসএসসির চেয়ারম্যানের কাছে হলফনামা তলব হাইকোর্টের
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে এসএসসি বোর্ড। অবিলম্বে এসএসসির চেয়ারম্যানের কাছে হলফ নামা চাইলেন বিচারপতি। ১১ মার্চ অর্থাৎ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার মধযে আদালতে হলফনামা পেশের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
এসএসসি দুর্নীতি মামলার শুনানিতে প্রকাশ্যে ভর্ৎসনা বিচারপতি। নবম ও দশমশ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির িশকড় অনেক গভীরে রয়েছে বলে জানিয়েছে কোর্ট। দোষীদের খুঁজে বের করতে হবে বলে মন্তব্য করেছে হাইকোর্ট। তারপরেই এই মামলায় এসএসসির চেয়ারম্যানের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। ১১মার্চ দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে হাইকোর্ট রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে।
এদিকে আবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তি প্রসাদ সিনহার অসুস্থ জানিয়ে যে চিকিৎসক সার্টিফিকেট লিখে দিয়েছিলেন তাঁকে তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাগ্যায়। বুধবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টার হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি অসুস্থ জানিয়ে হাজিরা দেননি। তার জন্য আদালতে মেডিকেল সার্টিফিকেট জমা দিয়েছিলেন তিনি। দেবাশিস রায় নামে এক চিকিৎসক সেই মেিডকেল সার্টিফিকেট লিখে দিয়েছিলেন। তাঁকে এবার আদালতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত জানিয়েছে, চিকিৎসক যদি বলেন শান্তি প্রসাদের অবস্থা খুব খারাপ, তাহলে অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে গ্রিন করিডরের ব্যবস্থা করা হবে।
মুর্শিদাবাদে অঙ্কের শিক্ষক হিসেবে ছয় জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেছিল এসএসসি। অথচ মেধা তালিকার নীচের দিকে ওই ছয়জনের নাম ছিল। আর তিনজন গত সোমবার আদালতে হাজিরা দিয়ে জানিয়েছেন তাঁদের নাম সুপারিশ করা হয়েছিল ঠিকই কিন্তু তাঁরা সেই চাকরি নেননি। এখন তাঁরা কেউ প্রাথমিক, আবার কেউ বেসরকারি কলেজে কাজ করছেন।
২০১৮ সালে ৬ শিক্ষকের নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচন দিন ঘোষণা হওয়ার পরে কীভাবে নিয়োগ করা হয় তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মামলাকারীরা। ফেব্রুয়ারি মাসে ওই ৬ শিক্ষকের সরকারি চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয় আদালত। তারপরেই মামলার শুনানিতে স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তি প্রসাদ সিনহাকে তলব করেছিলেন বিচারপতি।