রাজ্যে ৫ ধর্ষণকাণ্ডের তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট জমা হাইকোর্টে, নির্যাতিতাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ
রাজ্যের ৫ ধর্ষণ কাণ্ডের তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট জমা পড়ল কলকাতা হাইকোর্টে। নির্যাতিতাদের পরিবারকে অবিলম্বে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেইসঙ্গে ময়নাগুড়ি ধর্ষণ কাণ্ডের সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে আদালতে। সেই ঘটনার হলফনামা তলব করেছেন বিচাপপতি।

৫ ধর্ষণকাণ্ডের তদন্ত রিপোর্ট জমা
আজ রাজ্যের ৫ ধর্ষণকাণ্ডের তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়ল কলকতা হাইকোর্টে। পিংলা, শান্তিনিকেতন, নেত্রা, নামখানা, মায়নাগুড়ি রাজ্যের ৫ ধর্ষণ মামলায় রাজ্যের পক্ষ থেকে আদালতে রিপোর্ট এবং কেস ডায়েরি জমা
দেওয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্ত ও বিচারপতি রাজর্ষি ভারদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে জমা দেওয়া হয়েছে তদন্তের অগ্রগতির এই রিপোর্ট। তাতে পাঁচ ধর্ষণ কাণ্ডেরই কেস ডায়রি জমা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কাদের জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে সেকথাও আদালতে জানিয়েছে রাজ্য সরকার।

কী জানাল রাজ্য সরকার
শান্তিনিকেতন গণধর্ষণ কাণ্ডের কেস ডায়রি জমা দিয়ে জানানো হয়েছে মোবাইল ফোন উদ্ধার করে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। নির্যাতিতার এবং পরিবারের সদস্যদের মিলিয়ে মোট ১৬৪ জনের গোপন জবানবন্দি নিয়েছেন তদন্তকারীরা। ঘটনার পুনর্নির্মাণও করা হয়েছে বলে আদালতে রিপোর্ট দিয়ে জানিয়েছেন এডভোকেট জেনারেল। অন্যদিকে পিংলা ধর্ষণ কাণ্ডে কেসডায়রি এবং রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। আবার নেত্রা ধর্ষণকাণ্ডে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়ে জানানো হয়েছে জেলা লিগ্যাল এইড সার্ভিস আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন যে কবে তাঁরা নির্যাতিতার পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেবেন।

অবিলম্বে আর্থিক সাহায্যের নির্দেশ
কেস ডায়রি এবং তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ কড়া নির্দেশ দিয়েছে। ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে এত গড়িমসি কেন। অবিলম্বে নির্যাতিতাদের পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণের টাকা তুলে দিতে হবে বলে নির্দেশ গিয়েছেন বিচাপতির বেঞ্চ। এদিকে এই ৫ ধর্ষণের ঘটনার তদন্তের পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব রাজ্য সরকারের আইপিএস অফিসার দময়ন্তী সেনের উপরে দিয়েছে আদালত।

ময়নাগুড়ি কাণ্ডের সিবিআই তদন্তের আবেদন
ময়নাগুড়ি ধর্ষণকাণ্ডের সিবিআই তদন্তের আবেদন জানানো হয়েছিল আজ আদালতে। তাতে আদালত পরিবারের কাছে হলফ নামা চেয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বিজেপির পক্ষ থেকে ময়নাগুড়ির নির্যাতিতার পরিবারের কাছে গিয়ে সিবিআই তদন্ত দাবি করার কথা বলা হয়েছিল। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজে গিয়ে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন এবং তদন্ত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিলেন।