হাওলা মামলায় মুকুলের গ্রেফতারিতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের
হাওলা মামলায় মুকুলের গ্রেফতারিতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের
টাকা চেয়ে হুমকি দেওয়ার মামলায় বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের গ্রেফতারির ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি থাকবে বলে সোমবার জানান বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
এর মধ্যে ১০ ফেব্রুয়ারি কালীঘাট থানায় মুকুল রায়কে হাজিরা দিয়ে তদন্তের সহযোগিতার নির্দেশ দেন বিচারপতি। মামলার পরবর্তী শুনানি ১২ ফেব্রুয়ারি।
এদিন মামলার শুনানিতে মামলাকারির আইনজীবীরা জানান, গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে সুজিত শ্যাম নামে মুকুল ঘনিষ্ঠ এক ছাত্র নেতা আলিপুর আদালতে অভিযোগ করে জানান, অপরিচিত একটি নম্বর থেকে এক ব্যক্তি মুকুল রায়ের নাম করে সুজিতকে ফোন করে দেড় কোটি টাকা চেয়ে হুমকি দিয়েছিল। সুজিতের দাবি, ওই অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে বলা হয় দু কোটি টাকার বিনিময়ে মুকুল রায়ের সঙ্গে একটা সিডি নিয়ে রফা হয়। সেই সিডি প্রকাশ করা হলে সরকার পড়ে যাবে বলেও দাবি করা হয়।
ফোন সুজিতকে আরও জানান হয়, মুকুল তাকে ১ কোটি টাকা দিলেও বাকি টাকা দেয়নি। ওই টাকার বিনিময়ে সিডি দেওয়ার কথা জানানো হয়। আইনজীবিরা আরও জানান, এর পর আলিপুর আদালতে সুজিত জানায়, তিনি ফেঁসে যেতে পারেন এই সন্দেহে আলিপুর আদালতে মুকুলের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ জানান।
পরে
আলিপুর
আদালতের
নির্দেশে
কালীঘাট
থানায়
ওই
ঘটনায়
মুকুল
ও
অজ্ঞাতপরিচয়
এক
ব্যক্তির
বিরুদ্ধে
প্রতারণা,
ভয়
দেখানো,
ষড়যন্ত্র
ও
প্ররোচনার
অভিযোগ
এনে
এফআইআর
দায়ের
করে
তদন্ত
শুরু
হয়েছে।
ওই
এফআইআরকে
চ্যালেঞ্জ
করে
কলকাতা
হাইকোর্টের
দ্বারস্থ
হন
মুকুল।
মুকুলের
আইনজীবীর
দাবি,
তাঁর
মক্কেলকে
রাজনৈতিক
উদ্দেশ্য
প্রণোদিত
ভাবে
ফাঁসানো
হচ্ছে।
এদিন রাজ্যের কৌঁসুলি আদালতে জানান, গোটা বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ। পুলিশ তদন্ত করছে। অন্যদিকে এই মামলায় কেন্দ্রকেও যুক্ত করার জন্য কালীঘাট থানার তদন্তকারী অফিসারকে নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।