
বিধাননগরে পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের, ১২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিল আদালত
বিধাননগর পুরসভা ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ করা হবে কিনা তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সময়সীমা বেঁধে দি কলকাতা হাইকোর্ট। ১২ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে বৈঠকে বসতে হবে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে নির্দেশিকায় জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

বিধাননগর পুরভোট নির্দেশিকা
বিধাননগরে পুর নির্বাচন ১২ ফেব্রুয়ারি। বিধাননগরে রাজ্যপুলিশ দিয়ে পুরভোট করানোর প্রবল আপত্তি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিল রাজ্য বিজেপি। সেই মামলার শুনানি ছিল আজ। তাতে কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ খেে ৪৮ ঘণ্টা সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ১২ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ডিজির সঙ্গে বৈঠকে বসতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। সেখানে বাহিনী নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে তাঁদের।

স্বস্তিতে বিজেপি
তিন পুরসভার ভোটে রাজ্য পুিলশ দিয়ে ভোট করানোয় প্রথম থেকেই বিরোধিতা করে আসছিল বঙ্গ বিেজপি। কলকাতা পুরসভার ভোটে সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যপুলিশ দিয়ে ভোট করানোর কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু বিধাননগর পুরসভা ভোটে অশান্তি চরমে উঠতে পারে আশঙ্কা করে কলকাতা হাইকোর্টে ফের মামলা করে বঙ্গ বিজেপি। সেই মামলার শুনানিতে কিছুটা স্বস্তিতে বঙ্গ বিজেপি। কারণ বাহিনী নিয়োগ করা নিয়ে বিজেপির অভিযোগ এখনই খারিজ হয়নি। উল্টে কমিশনকে কড়া নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ১২ ঘণ্টার মধ্যে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজি বিধাননগরের সিপির সঙ্গে কথা বলবেন এবং বিধাননগরের পরিস্থিতি কী রকম রয়েছে, তা পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

আজই বৈঠকে বসছে কমিশন
কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশিকা জারি করার সঙ্গে সঙ্গে তৎপর হয়েছে নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর আজই রাজ্য পুলিশের ডিজি, বিধাননগর কমিশনারেটের সিপি এবং রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক বসা হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে বিধাননগরে ভোট করানো হবে কিনা তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বৈঠকের পর যদি আধিকারিকরা মনে করেন, বিধাননগরে পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন রয়েছে, তাহলে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলা হবে। এমনই জানানো হয়েছে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে আপত্তি নেই। কাজেই এখন পুরো সিদ্ধান্তটাই এই বৈঠকের উপরে নির্ভর করছে।

হাইকোর্টের কড়া বার্তা
কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলার শুনানিতে আরও একটি বিষয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে। যদি কমিশন পর্যালোচনার পর মনে করে, যে বিধাননগরের তা পর্যাপ্ত পুলিশ দিয়ে ভোট শান্তিপূর্ণ ও অবাধে করানো যাবে। তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন নেই। তবে ভোটের দিন যদি কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে, তাহলে ব্যক্তিগতভাবে কমিশনার দায়ী থাকবেন বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বিধাননগর নিয়ে বিজেপির এত তৎপরতার মূলে রয়েছে সব্যসাচী দত্ত। বিজেপি থেেক সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন সব্যসাচী দত্ত।