দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের মেন্টর ও কো-মেন্টরের নিয়োগ নিয়ে জবাব চলব হাইকোর্টের
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের মেন্টর ও কো-মেন্টরের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা শাসকের কাছে আইনী ব্যাখা সহ রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট।পঞ্চয়েত আইন মেনে প্রশাসনিক এই পদের নিয়োগ হয়েছে কিনা চার সপ্তাহের মধ্যে তার ব্যাখা পেশ করতে সোমবার নির্দেশ দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম সিনহা। মামলার শুনানি চার সপ্তাহ পর।
পাশাপাশি আদালতের নির্দেশ, যদি আইন না মেনে প্রশাসনিক এই পদের নিয়োগ হয়, তাহলে মেন্টর ও উপ মেন্টরের নিয়োগ বাতিল করে দিতে হবে।
এদিন মামলাকারী দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা রায়ের আইনজীবী অমরেশ রায় জানান, 'গত ১৬ জানুয়ারি রাজ্য প্রশাসনের নির্দেশে এই প্রশাসনিক পদে নিয়োগ হয়।' আইনজীবীর দাবি, 'পঞ্চায়েত আইনে এই ধরনের নিয়োগের কোন উল্লেখ নেই। সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে জোর করেই নিয়োগ করা হয়েছে।'
আইনজীবী আরও জানান, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জেলা পরিষদের ১৮টি আসনের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ সদস্য বিজেপিতে চলে যাওয়ায় জেলা পরিষদ বোর্ড সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে। কিন্তু পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী কোনও সভাধিপতি দল ত্যাগ করলেও দুই বছর আগে কোন জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে সারানো যায় না। কিন্তু এই সভাধিপতি বিজেপিতে চলে যাবার পরেই রাজ্যের প্রশাসন তাকে সরিয়ে নতুন নিয়োগ করে। জেলা পরিষদের কাজকর্ম স্বাভাবিক ও উন্নয়নের কাজ ধারাবাহিক রাখার জন্য স্থানীয় তৃণমূল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুভাশিষ পাল (সোনা) কে মেন্টর ও কো-মেন্টর পদে মৌমিতা মণ্ডলকে নিয়োগ করা হয়। যা সম্পূর্ণ বেআইনি। এর আগের শুনানিতে রাজ্যকে অবগত করার পরেও এদিন রাজ্যের তরফে কেউ হাজির না হওয়ায় এই নির্দেশ আদালতের।