নাগরিকত্ব আইন ইস্যুতে হিংসার ঘটনায় রাজ্যের কাছে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় রাজ্যের একাধিক জায়গায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার দুপুর সাড়ে বারোটায় মামলার পরবর্তী শুনানিতে ভিন্ন ভিন্ন রিপোর্ট হলফনামা আকারে পেশ করতে হবে রাজ্য, কেন্দ্র ও রেলকে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে যে-সব হিংসাত্মক ঘটনা নিয়ে দায়ের হওয়া মোট ৮ টি জনস্বার্থ মামলায় শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করণ নায়ার রাধাকৃষ্ণাণ ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
পাশাপাশি রেল ও রাজ্যের তেইশটি জেলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হওয়ার বিষয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কাছে ও বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে হবে রাজ্যকে।
এদিন মামলাকারীর আইনজীবী দাবি করেন, আইন-শৃংখলার অবনতি নিয়ে হাওড়া ডিএম এর উনিশে ডিসেম্বর এর একটি বিজ্ঞপ্তিকে তুলে ধরেন আদালতের কাছে। তাতে তিনি দাবি করেছেন রাজ্যের দেওয়া রিপোর্টের একদিন পরেই জেলা শাসক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছেন জেলায় অশান্তি ও আইন শৃঙ্খলার অবনতির কারণে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। যেখানে আগের দিন আদালতে রাজ্যের রিপোর্টে দাবি করা হয়, কোনো অশান্তি হয় নি রাজ্যের পরিস্থিতি স্বাভাবিক। কিন্তু জেলা শাসকের রিপোর্ট বলে দিচ্ছে রাজ্যে এখনও অশান্তি চলছে। যেকারনে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
তবে এদিন রাজ্যের তরফ এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত আদালতকে জানান, গত তিনদিন রাজ্যে কোনো অশান্তির খবর নেই। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সবাইকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের আহ্বান করেছেন। পাশাপাশি কোন রাস্তা ব্লক না করে কোন অসুবিধা না করে প্রতিবাদ কর্মসূচি চালানো যাবে বলে জানিয়েছেন। রেল তার নিজস্ব সম্পত্তি রক্ষার জন্য রেলের স্পেশাল নিরাপত্তা বাহিনী নিয়োগ করেছেন। এই মুহূর্তে রাজ্য শান্ত। কোনও অসুবিধা নেই।
অন্যদিকে এদিন এই সংক্রান্ত আরেকটি মামলায় সাংবিধানিক আইন কে নাম আনার পক্ষে রাজ্য সরকার সংবাদ মাধ্যমে যে বিজ্ঞাপন দিয়েছে। তা সম্পূর্ণ সংবিধান ও আইন বিরোধী। এতে জনসাধারণের পয়সা নষ্ট হচ্ছে।
এই নিয়ে রাজ্যকে ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন, রাজ্য কি জনসাধারণকে পয়সা বিজ্ঞাপন দিচ্ছে? মামলার পরবর্তী শুনানির তা জানাতে হবে রাজ্যকে।