কলকাতায় বর্ণবিদ্বেষ! করোনা আতঙ্কের মধ্যে সিকিমের মহিলাকে ‘চাইনিজ’ আখ্যা
করোনা আতঙ্কে বর্ণবাদের থাবা এবার কলকাতাতেও। কলকাতায় সিকিমের মহিলাকে চাইনিজ বলে পৃথকীকরণের অভিযোগ উঠল।
করোনা আতঙ্কে বর্ণবাদের থাবা এবার কলকাতাতেও। কলকাতায় সিকিমের মহিলাকে চাইনিজ বলে পৃথকীকরণের অভিযোগ উঠল। গত সপ্তাহে রাজধানী দিল্লিতে এক ব্যক্তি মণিপুরের এক মহিলার মুখে থুতু ছিটিয়ে 'করোনা ভাইরাস' আখ্যা দিয়েছিল। তারপর সে গ্রেফতার হয়েছিল বটে, কিন্তু যে বিভেদের বীজ বপণ করেছিল তা ছড়িয়ে পড়েছে দেশে।
অন্য একটি ঘটনায় উত্তর-পূর্বের শিক্ষার্থীদের বেঙ্গালুরুতে একটি সুপার মার্কেটে প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছিল। এই ঘটনার ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায় এবং নেটিজেনরা এই বিপদের সময়ে শিক্ষার্থীদের বর্ণবাদের শিকার করার জন্য সুপার মার্কেটের কর্মীদের ধিক্কার জানায়।
এরপর কলকাতায় স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে 'চাইনিজ' আখ্যা দিয়ে দূরে সরিয়ে রাখা হল একজনকে। কলকাতার একটি ঘটনা সমাজের অন্ধকার দিককে উন্মোচিত করে দিয়েছে। ২৪ বছর বয়সী একজন মহিলা বিমান সংস্থার কেবিন ক্রু হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল তিনি চিনা কি না। সিকিমের বাসিন্দা এই মহিলা গত চার বছর ধরে কলকাতায় বসবাস করছেন।
কোভিড ১৯-এর উপসর্গ রয়েছে বলে সন্দেহ ককে ওই মহিলাকে টালিগঞ্জের একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। হাসপাতালে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীরা মহিলাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন তিনি চিনা কি না? ওই মহিলা সংবাদ মাধ্যমের সামনে এই কথা জানান। তাঁকে পৃথক ওয়ার্ডে সরিয়ে দেওয়া হয়। এমনকী ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়ার সময়ও তাঁকে শুনতে হয়েছিল একজন চিনা কেন ওয়ার্ডে ভর্তি হচ্ছে।