কলকাতা খুব শিগগিরিই যেতে চলেছে সমুদ্রের গ্রাসে! জলসংকটের কালো মেঘ কল্লোলিনীর মাথায়
কথায় বলে, প্রকৃতিকে শাস্তি দিলে প্রকৃতি আরও বড়ৃ প্রতিশোধ নিয়ে নেয়। আর প্রতি নিয়ত সবুজের ছায়া গায়ে মেখেও যেভাবে বৃক্ষ নিধন করে 'শহরায়ণ' ঘটানো হচ্ছে তাতে আবহাওয়া- তাপমাত্রা অন্য হিসাবে এগিয়ে চলেছে।
কথায় বলে, প্রকৃতিকে শাস্তি দিলে প্রকৃতি আরও বড়ৃ প্রতিশোধ নিয়ে নেয়। আর প্রতি নিয়ত সবুজের ছায়া গায়ে মেখেও যেভাবে বৃক্ষ নিধন করে 'শহরায়ণ' ঘটানো হচ্ছে তাতে আবহাওয়া- তাপমাত্রা অন্য হিসাবে এগিয়ে চলেছে। এখনও সচেতন না হলে, আগামীর পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। বিশ্ব উষ্ণায়নের গতিবিধি এই সচেতনতার জোরালো বার্তা দিচ্ছে। অন্তত 'ইন্টার গর্ভমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ' এর তরফে প্রকাশিত রিপোর্ট এমনই তথ্য দিচ্ছে। যেখানে কলকাতাবাসীর জন্য রয়েছে এক আতঙ্কের খবর।
হিন্দুকুশ হিমবাহ থেকে আতঙ্ক!
রিপোর্ট বলছে, ক্রমেই গলতে শুরু করেছে হিমালয় পর্বতের হিন্দুকুশের হিমবাহ। যা ২৪০ মিলিয়ন মানুষের জল সরবরাহের একটি বড় ভিত্তি। আর এই ২৪০ মিলিয়ন মানুষের মধ্যে রয়েছে ৮৬ মিলিয়ন ভারতীয়। আর এই হিমবাহ আরও বেশি গলতে থাকলে তা দেশের ৫ টি বড় শহরের পক্ষে সংকটের মেঘ ঘনিয়ে আনবে।
কলকাতায় বাড়ছে জলস্তর
বলা হচ্ছে , হিমালয়ের হিমবাহ আরও গলতে থাকলেই গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় এলাকায় জলস্তর বাড়বে। যা গঙ্গা ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় এই জলস্তর বাড়ার পরিমাণ যথেষ্ট বাড়ছে। যা রীতিমতো আশঙ্কার মেঘ ডেকে আনছে।
কলকাতায় জলসংকটের কালো মেঘ!
রিপোর্ট বলছে, কলকাতায় সংলগ্ন এলাকায় যেভাবে সমুদ্রের জলস্তর বাড়ছে তাতে গঙ্গা অববাহিকায় ভূগর্ভস্থ জলের সঙ্গে সমুদ্রের নোনা জল মিশে যেতে পারে। যা শহরের জলসংকটতে ঘনীভূত করতে চলেছে। গত ১০০০ বছরে এই এলাকায় যেভাবে জনবিস্ফোরণ হচ্ছে , তাতে ওই জলসংকট মানুষকে শুধু জলকষ্টেই রাখবেনা সঙ্গে কলেরার মতো মারক রোগের যন্ত্রণাতেও ভোগাতে পারে বলে আশঙ্কা রিপোর্টে।
৬ টি শহর ডুবতে পারে জলে !
ভারতের ৭,৫১৭ কিলোমিটার উপকূল এলাকা। আর এই এলাকা জুড়ে ৬ টি শহর সংলগ্ন সমুদ্রে জলস্তর ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে। ভারতের বন্দর-শহর যেমন, কলকাতা, চেন্নাই, মুম্বি, সুরাট, বিশাখাপত্তনমের মতো এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে প্রবল। আর এখনই যদি বিশ্ব উষ্ণায়ণ নিয়ে সচেতন না হওয়া যায় তাহলে সমুদ্রের গ্রাস আসন্ন বলে দাবি করছে 'ইন্টার গর্ভমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ' এর ' স্পেশ্যাল রিপোর্ট অন দ্য ওসান অ্যান্ড ক্রাইয়োস্ফিয়ার ইন চেঞ্জিং ক্লাইমেট '।
[অযোধ্যায় রামের জন্মস্থান নিয়ে দ্বিমত! মুসলিম পক্ষের পাল্টা যুক্তি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের]
[ লোকসভায় বিজেপির ৩০০ পার! বিজেপির সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে 'বেফাঁস' শিবসেনা]