ফুটবল বিশ্বকাপের টানে নবমবার বিদেশ পাড়ি কলকাতার চাটুজ্জে দম্পতির
এইসবকেই যদি উন্মাদনা বলেন, তাহলে পান্নালালবাবু ও চৈতালিদেবীর ক্রিকেট প্রেমকে কী বলবেন?
পান্নালাল চট্টোপাধ্যায়, বয়স ৮১, প্রাক্তন ফুটবলার। স্ত্রী চৈতালি চট্টোপাধ্য়ায়, বয়স ৭২, ফুটবল প্রেমী। দুজনেই কলকাতার বাসিন্দা। তবে এঁদের ফুটবল প্রেম এতই গভীর যে আর কলকাতায় বসে এই মহোৎসব পালন করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়, তাই বাক্স প্যাটরা গুছিয়ে পাড়ি দিচ্ছেন ব্রাজিলে, বিশ্বকাপ লাইভ দেখতে।
"বিশ্বকাপ দেখতে যাওয়ার জন্য চার বছর ধরে একটু একটু করে সঞ্চয় করি"
এই প্রথমবার নয়, স্পেন দিয়ে চাটুজ্জে দম্পতির প্রথম বিশ্বকাপ মাঠে বসে দেখার হাতেখড়ি। তারপর মেক্সিকো ইতালি,আমেরিকা, ফ্রান্স, জার্মানি, তারপর জাপান-কোরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা সেরে এবার ব্রাজিল ভ্রমণ। এই নিয়ে নবম বিশ্বকাপ মাঠ থেকে চাক্ষুস করবেন এই ফুটবলপ্রেমী দম্পতি।
এনডিটিভি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকার অনুযায়ী, ফুটবল এমনই একটা খেলা যেটা মাঠে বসে না দেখলে সেই এক রকমের অনুভূতি কিছুতেই আসে না। প্রথমবার যখন মাঠে খেলা দেখেছিলাম, এত উপভোগ করেছিলাম ফুটবল খেলাকে যে তখন থেকেই প্রেমে পড় যাই। তার পর ঠিক করি, চার বছর ধরে সঞ্চয় করব, চেষ্টা করব পরের বার যাওয়ার জন্য, এই করতে করতে আমাদের নবম বার বিশ্বকাপে যাওয়া।
চট্টোপাধ্যায় দম্পতিক কথায়, "প্রত্যেক মাসেই আমরা পেনশনের টাকা থেকে আমরা কিছু টাকা সঞ্চয় করে রাখি। শাড়ির একটা ছোট ব্যবসা আছে। সেখান থেকেও সঞ্চয় করি। এর ফলে অনেক মোহ মায়া ছাড়তে হয়েছে আমাদের। সবকিছু তুচ্ছ লাগে যখন মাঠে গিয়ে চোখের সামনে ২২ জন ফুটবলারকে খেলতে দেখি।"
বয়স হয়ে গিয়েছে, আর হয়তো পরের বার বিশ্বকাপ দেখতে দেশের বাইরে যাওয়ার মতো শরীরে জোর থাকবে না। দেখতে হবে বাড়িতে বসেই। তবু কোনও আক্ষেপ নেই। এই শেষবারের বিশ্বকাপটা তাই কাটাতে চান সবচেয়ে মজা করে।