তৃণমূলের তিন বিধায়কের গ্রেফতারের পরেই আতঙ্কিত বিজেপি নেতারা! তড়িঘড়ি ফোন গেল লালবাজারে
নারদা-কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই সকাল সকাল রাজ্যের দুই মন্ত্রীর বাড়িতে পৌঁছে গেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। গ্রেফতার করা হল রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে।
নারদা-কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই সকাল সকাল রাজ্যের দুই মন্ত্রীর বাড়িতে পৌঁছে গেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা।
গ্রেফতার করা হল রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে।
একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হল বিধায়ক মদন মিত্র। গ্রেফতার শোভন চট্টোপাধ্যায়ও।
আর তা নিয়ে উত্তাল রাজ্যের রাজনীতি। অভিযোগ, কোনও নোটিশ ছাড়া মাত্র ঘণ্টা দেড়েকের ব্যবধানে চার জনকে তুলে আনা হয়। পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের।
একদিকে যখন চার নেতাকে আদালতে তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে অন্যদিকে নিজাম প্যালেসে পৌঁছে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রায় ঘন্টাখানেক হয়ে গেলেও নিজের অবস্থানে অনড় রয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। সিবিআই দফতরের ১৫ তলাতেই বসে রয়েছেন তিনি। অন্যদিকে শোভন চট্টোপাধ্যায় এই মুহূর্তের তৃণমূলের সক্রিয় সদস্য না হলেও চারজনই বাংলার রাজনীতির দাপুটে নেতা হিসেবেই পরিচিত। তাঁদের গ্রেফতারির পর তাই বিক্ষোভের ঘটনায় আশঙ্কা বাড়ছে বিরোধীদের।
ইতিমধ্যে নিজাম প্যালেসের বাইরে ভিড় বাড়ছে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গোটা রাস্তা। অন্যদিকে কলকাতা সহ জেলার বিভিন্ন অংশে তৃণমূল কর্মীদের উপর বিক্ষোভ বাড়ছে। এই অবস্থায় আতঙ্কিত বিজেপি নেতারা! জানা যাচ্ছে, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে সিবিআই গ্রেফতার করার পরেই ফোন যায় লালবাজারে।
বিজেপি অফিস থেকে পুলিশ আধিকারিকদের ফোন করা হয়। বিজেপির মুরলীধর লেনের অফিস ও হেস্টিংসের নির্বাচনী অফিসে বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। বাড়তি পুলিশ কর্মী দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। হামলার আশঙ্কায় লালবাজারে ফোন করে নিরাপত্তা চাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, সারদা মামলায় সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করার পরে হামলা হয়েছিল বিজেপি অফিসে। অফিস ঘিরে ফেলেছিলেন তৃণমূলকর্মীরা। ব্যাপক ভাঙচুর করা হয় বিজেপি দফতর। অভিজ্ঞতা থেকেই আগাম সাবধানতা নিচ্ছে বিজেপি।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক জায়গায় বিক্ষোভের ছবি দেখা যাচ্ছে। সকালে ফিরহাদ হাকিমকে চেতলার বাড়ি থেকে সিবিআই তুলে নিয়ে আসতেই সেখানে রাস্তায় বসে পড়েন কর্মী-সমর্থকেরা। বিক্ষোভের ছবি আসছে একাধিক জেলা থেকেও। কোথাও টায়ার জ্বালিয়ে, কোথাও রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কর্মীরা।
তাই বিজেপি অফিসেও যে সেরকমই প্রতিক্রিয়ার প্রভাব পড়তে পারে, সেই আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। আর সেই কারণে তড়িঘড়ি ফোন করা হয় লালবাজারে। ইতিমধ্যে তৃণমূলের তরফে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে যে কেন নারদা-কাণ্ডে মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করা হবে না।
এই অবস্থায় বিজেপি পার্টি অফিসে এই ক্রোধের আঘাত পড়তে পারে বলে আশঙ্কা। অন্যদিকে মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারী এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা পান। জানা যাচ্ছে, ক্ষোভের আগুন তাঁদের বাড়িতেও পড়তে পারে। আর সেই কারণে বাহিনীকে অ্যালারট করে রাখা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।