এটিএম প্রতারণা কাণ্ডে রোমানিয়ান যোগ, বাঁচতে হলে কী করবেন জানাল পুলিশ
এটিএম প্রতারণা কাণ্ডে রোমানিয়ান যোগ, বাঁচতে হলে কী করবেন জানাল পুলিশ
যাদবপুরের এটিএম জালিয়াতির ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে। মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত সবার মধ্যেই এখন অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা চুরি নিয়ে আতঙ্কের ছায়া। এই এটিএম প্রতারণা কাণ্ডে রোমানিয়ান যোগ রয়েছে বলে লাল বাজার সূত্রের খবর।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, 'এই বছর এপ্রিল মে মাস নাগাদ এটিএম জালিয়াতির ঘটনা সামনে আসে সেই ক্ষেত্রেও কিন্তু রোমানিয়ান যোগ সূত্র কিন্তু স্পষ্ট হয়েছিল। এপর্যন্ত যাদবপুরে এই এটিএম জালিয়াতি কান্ডে প্রায় ৪৪টি অভিযোগ জমা পড়েছে এবং চারু মার্কেট এক্ষেত্রে মোট ১৩টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অর্থাৎ মোট ৫৭টি অভিযোগ। এবং এ পর্যন্ত যাদবপুরে প্রায় ৯ লক্ষ টাকা জালিয়াতি হয়েছে। চারু মার্কেট তিন লক্ষ টাকা জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার লালবাজারে সাংবাদিক সম্মেলন করেন কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) মুরলীধর শর্মা। তিনি জানান, এর আগেও রোমানিয়ার চক্রের ব্যাপারটি সামনে এসেছিল। এবারও প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে ওই চক্রই রয়েছে। গত বছর মে মাসে ঢাকুরিয়া, লেক গার্ডেন্স-সহ দক্ষিণ কলকাতার একাধিক এলাকায় এটিএম জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছিল। সেই সময়ে রোমানিয়ার একটি চক্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাই এই ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তের পর কলকাতা পুলিশ মনে করছে, রোমানিয়ার চক্র থাকতে পারে। লালবাজারের হাতে ছবিও এসেছে বলে জানান তিনি। যেখানে দেখা যাচ্ছে, দিল্লির এটিএম থেকে টাকা তোলা হচ্ছে। মাথায় টুপি ও মুখে মাস্ক পরে সন্দেহভাজন একজনের টাকা তোলার ছবি হাতে পেয়েছে কলকাতা পুলিশ।
যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) আরও জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের একটি বিশেষ দল দিল্লিতে পৌঁছে গিয়েছেন। দিল্লি পুলিশও এই জালিয়াতির চক্র ধরতে সাহায্য করছে বলে জানিয়েছেন মুরলধীর শর্মা। খতিয়ে দেখা হচ্ছে রোমানিয়ার কিং পিন কাজ করেছে কিনা।
এদিন লালবাজারের তরফে বলা হয়েছে, গত বছর শহরে এটিএম জালিয়াতির ঘটনায়, তখন লালবাজারের তরফে সমস্ত ব্যাঙ্ককে ডেকে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। তার মধ্যে ৮০ শতাংশ নেওয়াও হয়েছে। কিন্তু এখনও কলকাতার ২৫০টির বেশি এটিএম কিয়স্ক রক্ষীবিহীন বলে জানিয়েছেন তিনি। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, দ্রুত ওই কিয়স্কগুলিতে রক্ষী বসাতে হবে। পাশাপাশি, এদিন লালবাজারের তরফে বলা হয়েছে, অ্যান্টি-স্কিনিং ডিভাইস ও ই-সার্ভিলেন্স চালু করার কথা বলা হয়েছে ব্যাঙ্কগুলিকে। একইসঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কী কী পদক্ষেপ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ নিয়েছে তার বিশদ রিপোর্ট ১ জানুয়ারি ২০২০-এর মধ্যে কলকাতা পুলিশকে জমা দিতে হবে।