টাকি জমিদার বাড়ির পুজো! সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য ৩০০ বছরের বেশি সময় ধরে
আজ আর নেই সেই ঝাড়বাতির রোশনাই। তবুও প্রাচীন রীতি মেনে আজও সাবেকিয়ানায় পুজো হয় কলকাতা সংলগ্ন জেলা, উত্তর ২৪ পরগনার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ছোট্ট শহর টাকির জমিদার বাড়িতে।

টাকির জমিদার বাড়ির পুজো
কলকাতা থেকে মাত্র ৮০ কিলোমিটার দূরে, ভারতের শেষ। শুরু বাংলাদেশের। মধ্যে দিয়ে বয়ে চলছে ইছামতী নদী। সেই ব্রিটিশ আমলের শহর, সঙ্গে রাজবাড়ির কথকতা এক মহমহী রূপ দেয় নদীকেন্দ্রিক এই শহরকে। শরৎ-এর আকাশে কাশফুলের দোলা লেগেছে। আর সময় বলছে বাঙালির জীবনের শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো আসন্ন। ঠিক তখনই সাজো সাজো রব উত্তর ২৪ পরগনা জেলার টাকি জমিদার বাড়িতে। জোড় কদমে চলছে শেষ মুহূর্তের পুজো প্রস্তুতি ।
[আরও পড়ুন:হারিয়ে যেতে বসা বাংলার লোকশিল্পকে এবার তুলে ধরছে হালসিবাগান সর্বজনীন]

অনেক ইতিহাসের সাক্ষী
কথায় আছে, গোবরডাঙা জমিদারের হাতি ও টাকির জমিদারদের লাঠি ছিল এক সময় বিখ্যাত । কিন্তু সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আজ আর নেই জমিদারি প্রথা। এই বাড়িতেই প্রায় তিনশো বছরেরও আগে থেকে ধারাবাহিক ভাবে হয়ে আসছে দুর্গাপুজো। ইছামতী নদীর ধারে টাকির এই পোড়ো জমিদার বাড়ি আজও ইতিহাসের সাক্ষী বহন করে আসছে। বর্তমানে এই জমিদার বাড়ির কোন সদস্য এখন আর এখানে থাকেন না। বর্তমানে এই জমিদার বাড়ির কোন সদস্য এখানে না থাকলেও পুজো কটাদিন সদলবলে সকলেই হাজির হন এখানে।

পুজোর ইতিহাস
জানা গিয়েছে আজ থেকে প্রায় তিনশো বছরেরও বেশি আগে তৎকালীন জমিদার জগবন্ধু রায় চৌধুরী প্রথম এই বাড়ি তে দুর্গাপুজো শুরু করেন। সেই ধারা বছরের পর বছর ধরে বজায় রেখে চলেছেন উত্তরসূরিরা। এই পুজো ঘিরে সব নিয়মকানুন একই থাকলেও সময়ের নিয়মে শুধু বদলেছে জৌলুশ। সেই একচালের ডাকের সাজে প্রতিমার চল রয়েছে এখনও। পুরোহিত, মৃৎশিল্পী, ঢাকি সবাই বংশপরম্পরায় কাজ করে আসছেন।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন রয়েছে এই পুজোকে ঘিরে। এই পুজো ঘিরে হিন্দু, মুসলমান মিলেমিশে একাকার হয়ে যান।