আসল ছেলেকে খুন করে নকল ছেলে সেজে আত্মসাৎ, এ কাহিনির পরতে পরতে চমক
সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানায় এই কাহিনি। আসল ছেলেকে খুন করে নকল ছেলে সেজে বাবার কাছ থেকে দিনের পর দিন টাকা আত্মসাৎ করে যাওয়ার সেই ঘটনা গায়ে কাঁটা দেয়।
সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানায় এই কাহিনি। আসল ছেলেকে খুন করে নকল ছেলে সেজে বাবার কাছ থেকে দিনের পর দিন টাকা আত্মসাৎ করে যাওয়ার সেই ঘটনা গায়ে কাঁটা দেয়। ১৪ বছরের এক কিশোর খুনের তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে ঘটে এই ঘটনা।
বিবাহ বিচ্ছেদের পর মায়ের সঙ্গে চলে গিয়েছিল ছেলে। এরপর কেটে গিয়েছে অনেক বছর। বাবা কিন্তু ভুলতে পারেনি ছেলেকে। তাই একবার ছেলের ফোন পেয়েই পুত্র স্নেহে অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। ভিনরাজ্যে থাকতেন বাবা। বাবার কাছে পড়াশোনার জন্য টাকা চেয়েছিল ছেলে। তাই বাবাও কোনও দৃকপাত না করে মাসে মাসে টাকা পাঠিয়ে যাচ্ছিলেন।
এরপরই এই গভীর ষড়যন্ত্রের জাল কাটল বাবা ছেলের সঙ্গে দেখা করতে চাওয়ায়। তখনই আসল ছেলেকে খুন করে বসল ওই প্রতারণা চক্রের পাণ্ডারা। এরপর এই খুনের তদন্তে নামে পুলিশ। তখনই সামনে চলে আসে পূর্বস্থলীর মুর্শেদ শেখের প্রতারিত হওয়ার ঘটনা। তাঁর ছেলে আর্শাদের নাম করে এতদিন টাকা আত্মসাৎ করে জামাল নামে এক যুবক।
আর্শাদ শেখ বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর থেকে মামার বাড়িতে থাকত। বাবার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ ছিল না তার। কিছুদিন আগে ট্রেনের ধাক্কায় আর্শাদের মায়ের মৃত্যু হয়। আর এই সুযোগটাই নেয় প্রতিবেশী জামাল ও তার দলবদল। বাবা-ছেলের অজান্তেই প্রতারণার ফাঁদ পাতে সে। স্থানীয় যুবক জামাল শেখ নিজেকে আর্শাদ বলে পরিচয় দেয়।
মুর্শেদ দেখা করতে চেয়েছিল আর্শাদের সঙ্গে। তখনই আর্শাদকে খুনের ষড়যন্ত্র কষে ফেলে জামালের দলবল। একদিন নিখোঁজ থাকার পর আর্শাদের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তদন্তে নামের পুলিশ অফিসাররা। ক্রমেই তাঁদের হাতে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ফাঁস হয়ে যায় সব ষড়যন্ত্র। জামালকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তাকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করছে পুলিশ।