দক্ষিণবঙ্গেও ঢুকে পড়ল এনসেফেলাইটিস, মৃত এক
স্থানীয় সূত্রে খবর, ১২ বছর বয়সী ওই ছেলেটির বাড়ির সাগরদীঘি থানার অন্তর্গত গাঙাড্ডা গ্রামে। শুক্রবার সকালে অসুস্থ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিন রাতেই মুকলেসুর রহমান মারা যায়। এর জেরে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মীরা।
মৃতের বাবা মোয়াজ্জেম হকের অভিযোগ, চিকিৎসার গাফিলতির কারণেই তাঁর ছেলের মৃত্যু ঘটেছে। সারা দিন হাসপাতালে পড়ে থাকলেও ডাক্তার দেখে গিয়েছেন মাত্র এক বার। স্যালাইন শেষ হয়ে যাওয়ায় কষ্ট পাচ্ছিল। নার্সদের জানানো হলে তারা চরম দুর্ব্যবহার করে বলে অভিযোগ। তাঁর দাবি, জাপানিজ এনসেফেলাইটিস হয়ে বলা সত্ত্বেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়নি।
এদিকে, উত্তরবঙ্গে এনসেফেলাইটিসে এখনও পর্যন্ত কতজন মারা গিয়েছে, তা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াল। রাজ্য সরকারের দাবি, ১২৪ জন মারা গিয়েছে। অথচ উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রের খবর, ২০৪ জন মারা গিয়েছে।
অন্যদিকে, রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য যথারীতি দায় চাপিয়েছেন পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের ঘাড়ে! তিনি বলেছেন, বাম জমানায় তথ্যপঞ্জি যেমন তৈরি করা হয়নি, তেমনই হাসপাতালের পরিকাঠামোর উন্নয়নও ঘটানো হয়নি। আজকে রাজ্য তারই মাশুল গুনছে। ২০৪ জন মারা গেলেও তাঁর দাবি, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিন্তু মজার ব্যাপার, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারার জন্য রাজ্য সরকার উত্তরবঙ্গের তিনি স্বাস্থ্যকর্তাদের সাসপেন্ড করেছে!