চারবছর পর কফিনবন্দি হয়ে ফিরলেন ইরাকে নিহত ২ বাঙালি, ডুকরে কাঁদছে গ্রাম
মঙ্গলবার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় নদিয়ার দুই যুবক খোকন শিকদার ও সমর টিকাদারের দেহ। এদিনই রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁদের দেহের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
চার বছর পর দুই যুবকের নিথর দেহ ফিরল গ্রামে। সব আশার পরিসমাপ্তিতে কফিনবন্দি হয়ে ফিরলেন ইরাকে কাজের খোঁজে যাওয়া দুই শ্রমিক। মঙ্গলবার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় নদিয়ার দুই যুবক খোকন শিকদার ও সমর টিকাদারের দেহ। এদিনই রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁদের দেহের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
ইরাকে কাজের সন্ধানে গিয়ে পণবন্দি হয়েছিল ৩৯ ভারতীয়। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন বাঙালি এই দুই যুবক। দীর্ঘ চার বছর অনেক আশা নিয়ে পথ চেয়ে বসেছিল পরিবার। কিন্তু সংসদে দাঁড়িয়ে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ পণবন্দি ৩৯ ভারতীয়র মৃত্যু ঘোষণায় সব আশা শেষ হয়ে যায়।
তারপরই দেহ ফিরিয়ে আনতে বিদেশমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভিকে সিং যান ইরাকে। সোমবার ৩৯ জনের মধ্যে ৩৮ জনের দেহ ফেরে দেশে। গত রাতেই তাঁদের দেহ দমদম বিমানবন্দের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর হাত থেকে প্রত্যার্পণ করা হয় রাজ্যের মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুকে। অধিক রাত হয়ে যাওয়ায় সোমবার রাতে দুই দেহ রাখা হয় জেএনএম হাসপাতালে। এদিন সকালে রাজ্যের তরফে নদিয়ায় শোকাহত দুই পরিবারের হাতে তা তুলে দেওয়া হয়।
চার বছরের আশার সমাপ্তী ঘটিয়ে কফিনবন্দি দেহ যখন ফেরে, গ্রামে তখন থই থই করছে মানুষ। দুজনের দেহাবশেষ একবার দেখার জন্য ভিড় জমান শোকাহত গ্রামবাসীরা। খোকন ও সমরের পরিবারের তখন হাহাকার চলছে। কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। বিধায়ক-মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসও ছিলেন মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর সঙ্গে। তিনি জানান, রাজ্য সরকার দুই পরিবারের পাশে থাকবে।