অনুব্রত গড়ে মমতার দলের প্রভাবশালী নেতা খুন! তদন্তের উপায় বাতলে দিলেন দিলীপ ঘোষ
শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হল খয়রাশোল ব্লকের তৃণমূল সভাপতি দীপক ঘোষের। সোমবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। রবিবার তাঁর ওপর দুষ্কৃতী হামলার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল।
শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হল খয়রাশোল ব্লকের তৃণমূল সভাপতি দীপক ঘোষের। সোমবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। রবিবার তাঁর ওপর দুষ্কৃতী হামলার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। ঘটনায় বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। পাল্টা তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রবিবার নেতার ওপর হামলা
সর্বক্ষণের তৃণমূল কর্মীকে সঙ্গে করে বাইকে হিংলো নদীর পাড় থেকে কেন্দ্রগড়িয়ার আদি বাড়িতে যাচ্ছি খয়রাশোল ব্লক তৃণমূলের সভাপতি দীপক ঘোষ। রাস্তায় বাইকে আসা তিন দুষ্কৃতী বাইক থামিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। প্রথমে দীপক ঘোষকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। মুখ-সহ দেহের একাধিক জায়গায় গুলি লাগে। পরে সঙ্গীকে সরিয়ে দীপক ঘোষকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে খয়রাশোল ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে।
অনুব্রত মণ্ডলের হুমকি
খবর পেয়েই খয়রাশোলের উদ্দেশে রওনা দেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, দীপক তার অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী। হুমকির সুরে তিনি বলেন, তার নাম অনুব্রত মণ্ডল। তিনি মারামারি করতে চান না। কিন্তু কেউ মারলে পিছিয়ে যাবেন না। বিজেপি নেতা রামকৃষ্ণ রায়কে এই মামলার একনম্বর আসামী করার হুমকি দিয়েছিলেন তিনি।
নেতার মৃত্যুতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব
খয়রাশোলের প্রভাবশালী নেতা দীপক ঘোষের ওপর হামলার পর থেকে স্থানীয় সূত্রে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্বই উঠে এসেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ওই ব্লকেরই তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি উজ্জ্বল হকের সঙ্গে দীপক ঘোষের দ্বন্দ্ব অবৈধ কয়লার কারবার নিয়ে। এর আগে দীপক ঘোষের দাদা অশোক ঘোষও খুন হয়েছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপক্ষের বিরোধ মেটাতে অনুব্রত মণ্ডল একাধিকবার চেষ্টাও করেছিলেন।
দীপক ঘোষের অনুগামীদের অফিসে বিস্ফোরণ
১০ সেপ্টেম্বর খয়রাশোলের বড়রা এলাকায় তৃণমূলে পার্টি অফিসে যে বিস্ফোরণ হয়েছিল, তা এই দীপক ঘোষের অনুগামীদের ছিল বলে স্থানীয় সূত্রে দাবি। আরও অভিযোগ, সেই পার্টি অফিসে বিস্ফোরক মজুত রাখা হয়েছিল।
দিলীপ ঘোষের দাবি
খয়রাশোলের ব্লক তৃণমূল সভাপতি দীপক ঘোষের খুনের ঘটনায় অনুব্রত মণ্ডলকেই জিজ্ঞাসাবাদের দাবি তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যে জেলায় তৃণমূলের আধিপত্য, সেই জেলাতেই নেতা খুন এবং পার্টি অফিসে কেন বিস্ফোরণ সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। কয়লা নিয়ে গণ্ডগোলের জেরেই খুন বলে ইঙ্গিত করেছেন তিনি। ঘটনায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তদন্তেরও দাবি করেছেন তিনি।