গবেষক-পড়ুয়াদের বিক্ষোভ উঠল খড়গপুর আইআইটি-তে, আজই বৈঠক
৪৮ ঘণ্টা পর অবস্থান-বিক্ষোভ তুলে নিল খড়গপুর আইআইটি-র গবেষক ছাত্ররা। কর্তৃপক্ষের কাছে থেকে আশ্বাস পেয়ে তাঁরা অবস্থান তুলে নিতে মনস্থ করে। আজই খড়গপুর আইআইটিতে বসছে জরুরি বৈঠক।
পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ ডিসেম্বর : ৪৮ ঘণ্টা পর অবস্থান-বিক্ষোভ তুলে নিল খড়গপুর আইআইটি-র গবেষক ছাত্ররা। কর্তৃপক্ষের কাছে থেকে আশ্বাস পেয়ে তাঁরা অবস্থান তুলে নিতে মনস্থ করে। আজই খড়গপুর আইআইটিতে বসছে জরুরি বৈঠক। সেই বৈঠকেই নির্ধারিত হবে হস্টেল ফি বৃদ্ধি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত।
গতকালই নমনীয় হয়ে ডিরক্টর ও ডিনদের ঘেরা মুক্ত করেছিলেন আইআইটি-র পড়ুয়ারা। টানা ২৫ ঘণ্টা ঘেরাও থাকার পর মুক্ত হয়ে স্বস্তি মিলেছিল ডিরেক্টর ও ডিনদের। কিন্তু কর্তৃপক্ষ নমনীয় হয়নি। তাঁরা আলোচনাতেও রাজি ছিলেন না। তাই গবেষক পড়ুয়ারা বিক্ষোভ-অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছিলেন। দাবি তোলা হয়েছিল, যতক্ষণ না ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ আন্দোলন চলবে।
শেষপর্যন্ত নমনীয় হল খড়গপুর আইআইটি কর্তৃপক্ষ। এবং গবেষক পড়ুয়াদের দাবি মেনে বৈঠক ডাকলেন খড়গপুর আইআইটি-র আধিকারিকরা। আজ দুপুরে বৈঠকের পরই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে যাবে। গবেষক ছাত্র-ছাত্রীরা জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের দাবি না মানা হলে পুনরায় আ্দোলনের পতেই হাঁটবেন তাঁরা। কোনওমতেই কর্তৃপক্ষের এই অন্যায় দাবি মেনে নেওয়া হবে না। অতিরিক্ত ফি দিতে তাঁরা অপারগ।
মঙ্গলবার সকাল থেকে দফায় দফায় বিক্ষোভ ঘেরাও চালাচ্ছিলেন পড়ুয়ারা। বুধবার দুপুরের পর ডিরেক্টরকে ঘেরাও মুক্ত করলেও বিক্ষোভ চলছিলই। এর আগে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কখনও এইরূপ ঘেরাও বিক্ষোভ অভিযান চালানো হয়নি। একেবারেই যাদবপুরের ধাঁচে এই ঘেরাও চলে।
খড়গপুর আইআইটি-র পড়ুয়াদের দাবি, একান্ত নিরূপায় হয়ে আমাদের এই পথে নামতে হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, সব পড়ুয়ার কাছ থেকেই এই হস্টেল ফি নেওয়া হয়। তা নিয়ে আমাদের কোনও আপত্তি ছিল না। কিন্তু সেই ফি এক ধাক্কায় ৭, ৫০০ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই বেহিসেবি বৃদ্ধির বিরুদ্ধেই আমাদের প্রতিবাদ। এই বৃদ্ধির ফলে প্রতি সেমেস্টারের খরচ ২৯ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ৩৭ হাজার টাকা হয়ে যাবে।
অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে বলে দাবি তোলেন পড়ুয়ারা। সেই দাবিতেই দফায় দফায় বিক্ষোভ চলে। ছাত্রছাত্রীদের এ ধরনের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ফ্যাকাল্টির তরফে বলা হয়েছে, এইসব পড়ুয়াদের যাদবপুরে পড়া উচিত ছিল। এখানে কেন এসেছে? দেশের অন্য কোনও আইআইটি তে ফি বৃদ্ধি হয়নি, তাহলে এখানে কেন বাড়াতে হল? সে প্রশ্ন তুলেছেন পড়ুয়ারা। কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় অনুদান কমে যাওয়াতেই এই ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কর্তৃপক্ষের কাছে এছাড়া অন্য কোনও উপায় ছিল না।