কাটোয়া বিস্ফোরণ কাণ্ডে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে সিআইডি, খোঁজ নিল এনআইএ-ও, ধৃত ৪
কাটোয়া বিস্ফোরণ-কাণ্ডের তদন্তে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করল সিআইডি। বর্ধমান জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা এলাকা পরিদর্শন করেন।
বর্ধমান, ৭ নভেম্বর : কাটোয়া বিস্ফোরণ-কাণ্ডের তদন্তে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করল সিআইডি। বর্ধমান জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা এলাকা পরিদর্শন করেন। সিআইডিকে আপাতত বিষয়টির উপর নজর রাখতে বলা হয়েছে। তদন্তভারও তুলে দেওয়া হতে পারে সিআইডি-র হাতে। এমনকী এই ঘটনায় তদন্তে আসতে পারে এনআইএ-ও।
ইতিমধ্যেই জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এই মর্মে খোঁজখবরও নিয়েছে। তবে কি এই বিস্ফোরণের পিছনে কোনও নাকশতা রয়েছে? রয়েছে কোনও জঙ্গি যোগ? সন্দেহ জেরালো হচ্ছে ক্রমশ। আসলে বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, খাগড়াগড়ের স্মৃতি ভেসে উঠেছিল স্থানীয়দের মনে। পুলিশও নাশকতার আশঙ্কা করেছিল। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৩০টি সুতলি বোমা।
এই
সুতলি
বোমা
ফেটে
কি
করে
এতবড়
কাণ্ড
ঘটতে
পারে,
প্রশ্ন
জাগছে
জনমনে।
একটা
বাড়ি
মাটিতে
মিশে
যেতে
পারে
ওই
সুতলি
বোমার
বিস্ফোরণে?
সেটাই
এখন
ভাবাচ্ছে
তদন্তকারীদের।
ইতিমধ্যেই
কাটোয়া
বিস্ফোরণ
কাণ্ডে
গ্রেফতার
করা
হয়েছে
চারজনকে।
তাঁদের
জিজ্ঞাসাবাদ
করে
পুলিশ
জানার
চেষ্টা
করছে,
ক্লাবের
ভিতরে
কী
ধরনের
বোমা
মজুত
ছিল?
কেনই
বা
তা
মজুত
করে
রাখা
হয়েছিল?
এই ঘটনায় নিহত লালু শেখের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। ক্লাবের সভাপতি, সম্পাদক ও ক্যাশিয়ারের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। মোট সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। অভিযুক্তদের মধ্যে ৬ জন সিপিএম কর্মী রয়েছে বলে অভিযোগ।
সিপিএম প্রভাবিত ওই ক্লাবে দীর্ঘদিন ধরে নানা অসামাজিক ক্রিয়াকলাপ চলত বলেও অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। এতদিন তারা মুখ খুলতে সাহস করেননি ভয়ে। স্থানীয়রা জানান, বহুদূর থেকে এই আওয়াজ শোনা গিয়েছে। ওই ক্লাব ঘর তো ভেঙে পড়েছেই, পাশের বাড়িতেও ফাটল দেখা দিয়েছে।