পালিয়েও শেষ রক্ষা হল না, মহিষাদলে পুলিশ খুনে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কর্ণ বেরার
পুলিশ কনস্টবেলকে খুনের ঘটনায় দোষীসাব্যস্ত কর্ণবেরাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করল হলদিয়া মহকুমা আদালত।
পুলিশ কনস্টবেলকে খুনের ঘটনায় দোষীসাব্যস্ত কর্ণবেরাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করল হলদিয়া মহকুমা আদালত। সোমবার কনস্টেবল হত্যা মামলায় অতিরিক্তি জেলা দায়রা বিচারক আশিসকুমার দাস কর্ণ বেরাকে যাবজ্জীবন ও তাঁর সঙ্গী শেখ রহিমকে দশ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা শোনান। তিন বছর বিচার প্রক্রিয়া চালানোর পর এই মামলার রায়দান হল এদিন।
এদিন সকাল থেকেই হলদিয়া মহকুমা আদালত নিরাপত্তায় মুড়ে দেওয়া হয়েছিল। কনস্টেবল হত্যা মামলায় দোষীসাব্যস্ত কর্ণ বেরা গত মাসেই পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল। তবে ঘণ্টাখানেক বাদেই তাঁকে ফের পাকড়াও করে পুলিশ। এদিন যাতে আর কোনও বিপত্তি না ঘটতে পারে, তার জন্য নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল।
শনিবার কর্ণকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এদিন তার সাজা ঘোষণার কথা ছিল। সেইমতো হলদিয়া মহকুমা আদালতের বিচারক আশিস দাস কর্ণকো যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। এদিন কর্ণের সঙ্গে তার শাগরেদ শেখ রহিমকেও আদালতে পেশ করা হয়। তারপরই উভয়ের সাজা শোনার বিচারক।
২০১৬ সালের ৭ জানুয়ারি রাতে কর্মরত পুলিশ কনস্টবেল নবকুমার হাইতকে গুলি করে খুন করে কর্ণ। ওই রাতে পূর্ব্ মেদিনীপুরের মহিষাদলের কাপাসএড়িয়ায় দুষ্কৃতীদের ধাওয়া করেছিলেন কনস্টেবল নবকুমার। তখনই দুষ্কৃতীরা গুলি ছোড়ে। সেই গুলিতেই মৃত্যু হল নবকুমার হাইতের।
[আরও পড়ুুন: রাত বাড়লেই নিশির ডাক, প্রেতাত্মা দেখে মূর্ছা গেল বধূ! ওঝার তুকতাক কালনাতেও]
এই ঘটনায় মৃত পুলিশ কর্মীর পরিবারের পাশে দাঁড়ান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দোষীদের শাস্তি দেওয়ার কথাও জানান তিনি। সেইমতো কর্ণ বেরাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় তাঁর সঙ্গী শেখ রহিমকে। দুজনকেই দোষীসাব্যস্ত করে আদালত। এদিন তাদের শাস্তি ঘোষণা করা হল।