কেন্দ্র প্রত্যাখান করলেও প্রজাতন্ত্র দিবসে কলকাতা রেড রোডে ঘুরবে কন্যাশ্রীর ট্যাবলো
কেন্দ্র প্রত্যাখান করলেও প্রজাতন্ত্র দিবসে রেড রোডে ঘুরবে কন্যাশ্রীর ট্যাবলো
প্রজাতন্ত্র দিবসে পশ্চিমবঙ্গের কন্যাশ্রী ট্যাবলোকে কেন্দ্র প্রত্যাখান করলেও, কলকাতার রেড রোডে অনুষ্ঠিত প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে এই ট্যাবলোকে সাজিয়ে রাখা ঘোরানো হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওইদিন সেখানে উপস্থিত থাকবেন।
রেড রোডে ঘুরবে কন্যাশ্রী
রাজ্য সরকারের এক উচ্চ আধিকারিক বলেন, ‘ট্যাবলোটি কেন্দ্র সরকার বাতিল করলেও রেড রোডে উপস্থিত বাংলার মানুষরা প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন ওই ট্যাবলোটি দেখে খুশি হবেন। এই প্রথমবার প্যারেড চলাকালীন এই ট্যাবলোটি রেড রোডে ঘুরবে।' এ মাসের গোড়াতেই রাজ্যের সমাজ কল্যাণমূলক প্রকল্প কন্যাশ্রীকে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডের জন্য বাতিল করে দেয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিশেষজ্ঞ কমিটি। ২০১৫ সালের পর ফের আরও একবার রাজ্য সরকারের ট্যাবলোর প্রস্তাবকে প্রত্যাখন করল কেন্দ্র সরকার। ২০১৮ সালে রাজ্য ‘একতাই সম্প্রীতি' ট্যাবলোর প্রস্তাবও নাকচ করে কেন্দ্র, যা এ রাজ্যের প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে অত্যন্ত প্রশংসা পায়।
এর আগে প্রজাতন্ত্র দিবসে বাংলার ট্যাবলো পুরস্কার পেয়েছে
কন্যাশ্রীর পাশাপাশি রাজ্য সরকার ‘জল ধরো জল ভরো' এবং ‘সবুজ সাথী' ট্যাবলোর প্রস্তাবও প্যারেডের জন্য পাঠিয়েছিল, কিন্তু তাও কেন্দ্র সরকার খারিজ করে দেয়। যদিও অতীতে ২০১৪ সালে পুরুলিয়ার ছৌ নাচের উপর একটি ঝকঝকে প্রদর্শন করে এবং ২০১৬ সালে বাউল শিল্পীদের উপর থিম করে পুরষ্কার পেয়েছিল বাংলা।
কন্যাশ্রী প্রকল্প
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্ক প্রসূত এই কন্যাশ্রী প্রকল্প ২০১৩ সালে সূচনা করা হয়। এই প্রকল্পের লক্ষ্যই হল বাংলার মেয়েদের ১৮ বছরের আগে বিয়ে রোধ করে তাদের আর্থিক সহায়তা করা, যাতে তারা পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম হয়। কন্যাশ্রীতে ইতিমধ্যেই ৬০ লক্ষ মেয়ে তাদের নাম নথিভুক্ত করেছে এবং ৫৭ লক্ষেরও বেশি অর্থ সুবিধাভোগী কন্যাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ডিসেম্বরে পর্যন্ত রাজ্য সরকার ৭,২৩৭.২৮ কোটি টাকা এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করেছে। ২০১৭ সালে এই কন্যাশ্রীকে পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করে রাষ্ট্রপুঞ্জ। শীর্ষ এক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা জানান যে এনআরসি ও সিএএ নিয়ে রাজ্য বিরোধিতা করছে বলে কেন্দ্র তাদের সঙ্গে বৈমাত্রেয় সুলভ আচরণ করল।