বাংলায় বামেদের মুখ ঐশী! একুশে বিধানসভা নির্বাচনের আগে সওয়াল কানহাইয়ার
বাংলায় বামেদের কোনও মুখ নেই! কয়েক দশক ধরেই কোনও যুবনেতা বা নেত্রী উঠে আসছে না। যার ফলে রাজ্যে বামেদের শিরে সংক্রান্তি অবস্থা হয়ে গিয়েছে।
বাংলায় বামেদের কোনও মুখ নেই! কয়েক দশক ধরেই কোনও যুবনেতা বা নেত্রী উঠে আসছে না বামফ্রন্টে। যার ফলে রাজ্যে বামেদের শিরে সংক্রান্তি অবস্থা হয়ে গিয়েছে। ২০১১-য় ক্ষমতা হারানোর পর আর ফিরে আসতে পারেনি বামেরা। এমনকী বিরোধী দলের তকমাও হারিয়েছে। বর্তমানে আতসকাচ দিয়ে খুঁজতে হয় বামফ্রন্ট তথা সিপিএমকে।
ঐশী হোক বাংলার মুখ, প্রস্তাব কানহাইয়ার
এই অবস্থায় বাংলায় বামেদের মুখ খুঁজে দিয়ে গেলেন কানহাইয়া কুমার। জেএনইউয়ের প্রাক্তন ছাত্রনেতা বর্তমানে সিপিআইয়ের জাতীয় পরিষদের সদস্য। তিনি প্রস্তাব দিলেন ঐশী ঘোষকে বাংলায় বাম আন্দোলনের মুখ করা হোক। জেএনইউয়ের ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশীর জন্য সওয়াল করে কানহাইয়া কুমারের দাবি প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পেতে তাঁর মতো নেত্রীকে দরকার বাংলার।
ধুঁকছে বামফ্রন্ট, ঐশীকে মুখ করে এগনো উচিত
বিংশ শতাব্দীর ছয়ের দশকে এক ঝাঁক বামনেতা উঠে এসেছিলেন। তাঁদের কাঁধে ভর করেই বাম আন্দোলনের পথিকৃত হয়ে উঠেছিল বাংলা। কিন্তু সেই রামও নেই, সেই রাজত্বও এখন নেই। বিকল্প নেতার অভাবে এখন ধুঁকছে বামফ্রন্ট। অস্তিত্বই বিলীন হতে বসেছে। এই অবস্থায় বামেদের ঐশীকে মুখ করে এগনো উচিত বলে মনে করেন কানহাইয়া।
কানহাইয়া কুমারের প্রস্তাবকে সমর্থন সুজনের
এখন প্রশ্ন উঠেছে ঐশীকে কি ছাত্র আন্দালন থেকে সরিয়ে গণ আন্দোলনে তুলে আনবে সিপিএম। কেননা কানহাইয়ার কথাকে সমর্থন জানিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী। তিনি নিজে ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে এসেছেন। সুজন জানান, কানহাইয়া কুমারের প্রস্তাবকে আমি সমর্থন করি।
সময় এসেছে নতুন প্রজন্মের হাতে ব্যাটন দেওয়ার
সুজন বলেন, এবার সময় এসেছে নতুন প্রজন্মের হাতে ব্যাটন তুলে দেওয়ার। নতুন প্রজন্মই পারে বামফ্রন্টকে ফের সামনের সারিতে তুলে আনতে পারে। বামপ্রন্টকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে ঐশীরাই। এখন ঐশীদের সুযোগ দিতে হবে। তাঁদের উপর ভরসা করতে হবে। তা না হলে সুদিন ফেরানো দুঃসাদ্য হয়ে যাবে।
ছাত্র নেতা-নেত্রীকে গণ আন্দালনে আনা দরকার
সম্প্রতি সিপিএমের মধ্যে পরিবর্তন আনার চেষ্টা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।। সিপিএম চেষ্টা করছে নতুন প্রজন্মকে সামনে তুলে আনার। সেই লক্ষ্যে কমিটিতে নতুন মুখ আনা হচ্চে। আনা হচ্ছে যুব নেতাদের। আবার উল্টো ছবিও দেখা গিয়েছে, অনেক ছাত্র নেতা বা নেত্রীকে গণ আন্দালনে তুলে আনার দরকার ছিল, কিন্তু সেভাবে তাঁদের তুলে আনা হয়নি। ফলে তাঁরা হারিয়ে গিয়েছেন।
ঐশীর ক্ষেত্রেও সক্রিয় হোক সিপিএম : কানহাইয়া
এবার সিপিআইয়ে কানহাইয়া কুমার যেমন উঠে এসেছেন, তেমনই ঐশীর ক্ষেত্রেও সিপিএমকে সক্রিয় হতে বললেন কানহাইয়া। রাজ্যে বামফ্রন্টে সিপিএমই বড় শরিক। ঐশী সেই দলের পক্ষ থেকে যেভাবে সিএএ-এনআরসি বিরোধী আন্দালনকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন নিজ দক্ষতায়, তা প্রশংসনীয়। বাংলায় সিপিএম তথা বামাদের উজ্জীবিত করতে এবার তাই তাঁকেই দরকার। ভবিষ্যই বলবে ঐশী বাংলার মুখ হচ্ছেন কি না!