৬ কাউন্সিলর তৃণমূলের পথে, কান্দিও ‘হাত'ছাড়া, দল ছাড়ছেন বিধায়কও
মুর্শিদাবাদ, ১ অক্টোবর :মুর্শিদাবাদ, ১ অক্টোবর : শেষ সম্বলটুকুও হাতছাড়া হয়ে গেল এবার। মুর্শিদাবাদে সাতে সাত করে বাজিমাত তৃণমূলের। কংগ্রেসের হাতে আর কোনও পুরবোর্ডই থাকছে না অধীর-গড়ে। রাজ্যে দ্বিতীয় তৃণমূল সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যেই মুর্শিদাবাদের সাত পুরসভায় দখল নিশ্চিত করে ফেলল শাসক দল।
কান্দি পুরসভার আরও পাঁচ কংগ্রেস কাউন্সিলর শনিবার তৃণমূল ভবনে এসে যোগ দিলেন তৃণমূলে। একদন চিঠি লিখে যোগদানের ব্যাপারে নিশ্চত করেছেন। সেইসঙ্গে এই পুরসভার চেয়ারম্যান তথা কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকারও তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলে খবর। তবে এই খবর ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন অপূর্ববাবু। তৃমমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাতে সাত করার পর বলেন, এবার 'অধীর-গড়ে' কংগ্রেসকে দূরবীন দিয়ে দেখতে হবে।
১৮ আসনের কান্দি পুরবোর্ড। ১৩টি আসনে জিতে এই পুরসভায় নিরুঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল অধীর চৌধুরীর কংগ্রেসের। তিনটি ওয়ার্ডে জিতেছিল তৃণমূল আর দু'টি ওয়ার্ডে জিতেছিল বাম সমর্থিত নির্দল প্রার্থী। কিন্তু দলবদলের খেলায় আগেই ছ'জন কাউন্সিলর নাম লেখায় তৃণমূলে। ফলে এই পুরসভায় সমীকরণ দাঁড়ায় কংগ্রেস ৭, তৃণমূল ৯ ও নির্দল ২। তৃণমূল ৯ ও বাম-কংগ্রেস ৯ -টাই হয়ে যাওয়ায় সঙ্কট তৈরি হয় বোর্ডের দখল নিয়ে।
এবার ছ'জন কংগ্রেস কাউন্সিলর দলত্যাগ করায় তৃণমূল একক সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে গেল। শনিবার এই যোগদানের পর তৃণমূলের কাউন্সিলর সংখ্যা দাঁড়াল ১৫। আর কংগ্রেস ১, নির্দল ২। চার দিন আগেই মুর্শিদাবাদ পুরসভার দখল নিয়েছে তৃণমূল। এবার কান্দিও হাতছাড়া হল। কংগ্রেস একেবারে হোয়াইটওয়াশ হয়ে গেল। শুধু কাউন্সিলররাই নয়, শাসক শিবিরের দিকে পা বাড়িয়ে দিচ্ছেন একের পর এক বিধায়কও। ক্রমেই শক্তিক্ষয় হয়েই চলেছে বিধানসভার প্রধান বিরোধী দলের।