কামদুনি কাণ্ডে ৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৩ জনকে আমৃত্যু কারাবাসের নির্দেশ
কলকাতা, ৩০ জানুয়ারি : কামদুনি কাণ্ডে দোষীদের সর্বোচ্চ সাজাই দিল আদালত। সাইফুল আলি, আনসার আলি, আমিরুল ইসলাম এই তিন জনকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনাল আদালত। বাকি ৩ দোষী ভোলা নস্কর, আমিন আলি, শেখ এমানুর ইসলামকে আমৃত্যু কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
কামদুনী কাণ্ডে সাজা ঘোষণা আজই!
কলকাতা, ৩০ জানুয়ারি : কামদুনি কাণ্ডেদোষী সাব্যস্ত ৬ জনের সাজা ঘোষণা শুক্রবার পিছিয়ে গিয়েছিল। সম্ভবত আজ, শনিবার নগরদায়রা আদালতে সঞ্চিতা সরকারের এজলাসে কামদুনি কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত ৬ জনের সাজা ঘোষণা করা হতে পারে।
তবে সাজা ঘোষণাক আগে সকাল ১১টা থেকে শুরু হবে আর এক পর্ব সম্ভবত শেষ পর্বের শুনানি। গণধর্ষণ, তথ্য লোপাট, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও খুনের ধারায় দোষী সাব্যস্ত তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। অন্যদিকে গণধর্ষণ ও তথ্য লোপাটে দোষীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ২০ বছর থেকে আজীবন কারাবাসের নির্দেশ দিতে পারে বিচার সঞ্চিতা সরকার। [একনজরে ২০১৩ কামদুনি গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনা]
শুক্রবার দুপুরে নগর দায়রা আদালতে শুনানির পর রায় দেবার কথা ছিল বিচারপতি সঞ্চিতা সরকারের। কিন্তু শুনানি এদিন বিকেল ৩ টে থেকে শুরু হয়ে গড়ায় বিকেল ৫ টা পর্যন্ত। এরপরই জানিয়ে দেওয়া হয়, কামদুনি কাণ্ডে বহু অপেক্ষিত সাজা ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আজ।
ইতিমধ্যেই কামদুনি কাণ্ডে অভিযুক্ত ৮ জনের মধ্যে ৬ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। [কামদুনি কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত ৬, তথ্য প্রমাণের অভাবে খালাস ২ জন]
আদালত ৮ জনের মধ্যে সাইফুল আলি, আনসার আলি, আমিরুল ইসলাম এই তিন জনকে খুন, গণধর্ষণ -সহ সবকটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেছে। ভোলা নস্কর, আমিন আলি, শেখ এমানুর ইসলাম গণধর্ষণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে।
বাকি তথ্য প্রমাণের অভাবে রফিকুল ইসলাম গাজি ও নুর আলি এই দুজনকে তথ্য প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি আদালতের রায় খুশি নয় নির্যাতিতার পরিবার। তদন্তে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারা। তাদের কথায়, তদন্তে ঠিক পথে এগোলে রফিকুল ও নুর কিছুতেই বেকসুর খালাস হতো না।