বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই বারাকপুর এক্সপ্রেসওয়েতে খুন আইন কলেজের ছাত্রী? ধৃত ২
কল্যাণী আইন কলেজের ছাত্রীকে গুলি করে খুন করল দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার রাতে বারাকপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়া, ৯ ডিসেম্বর : বিবাহ বহির্ভূত কারণেই খুন কল্যাণী আইন কলেজের ছাত্রী? মেধাবী ছাত্রী মৌমিতা বিশ্বাসের গুলিবিদ্ধ দেহ বারাকপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধার থেকে উদ্ধার হওয়ার পর খুনের ঘটনার পিছনে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলেই প্রাথমিক তদন্ত অনুমান পুলিশের।
পুলিশ তদন্ত নেমে জানতে পারে মৌমিতা বিশ্বাস নামে কল্যাণী আইন কলেজের নিহত ছাত্রীর বাড়ি বারাকপুরে। টিটাগড়ের বাসিন্দা নিখিল সেনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের বাইরেও ওই তরুণীর একাধিক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। আর সেই কারণেই তাঁকে খুন হতে হয় বলে অনুমান পুলিশের।
তরুণীর মাথায় গুলির চিহ্ন রয়েছে। খুব কাছ থেকে তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়। তবে কে বা কারা তাঁকে খুন করল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কোনও পরিচিত ব্যক্তি তাঁকে ওই জায়গায় নিয়ে এসে খুন করে বলে অনুমান। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, এক বছর আগে টিটাগড়ে বিয়ে হলেও স্বামী নিখিলকে ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে আসেন মৌমিতা। তারপর বাসুদেব দাস নামে এক যুবকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তৈরি হয়। নিখিলের সঙ্গে বিয়ের পর থেকেই বাবার সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ ছিল তাঁর। সেই সম্পর্কও আবার ভালো হয়ে যায় বাপের বাড়ি ফিরে যাওয়ার পর।
মৌমিতা
ভর্তি
হন
কল্যাণীর
স্নেহাংশু
আচার্য
আইন
কলেজে।
তারপরই
ঘটে
গেল
এই
ভয়ঙ্কর
ঘটনা।
পুলিশ
এই
খুনের
পিছনে
বিবাহবহির্ভূত
সম্পর্কের
কারণই
দেখছে।
এই
ঘটনায়
মৌমিতার
স্বামী
নিখিল
সেন
ও
বাসুদেব
দাসকে
গ্রেফতার
করেছে।
তাদের
জেরা
করছে
পুলিশ।
মৌমিতার
শাশুড়ি
বলেন,
বিয়ের
পাঁচমাস
পরেই
বাপের
বাড়ি
ফিরে
যায়
মৌমিতা।
তাঁর
আইন
পড়া
নিয়েও
সমস্যা
ছিল
শ্বশুর
বাড়ির।
পুলিশ
জানিয়েছে,
মৌমিতার
বাবা
একজন
পুলিশ
কর্মী।
কিন্তু
ঘটনার
পর
থেকে
তাঁর
বাবা-মায়ের
কোনও
খোঁজ
পাওয়া
যাচ্ছে
না।
এর
মধ্যেও
কোনও
রহস্য
রয়েছে
কি
না,
তা
খতিয়ে
দেখছেন
তদন্তকারীরা।