রাজ্যপালকে বিজেপির ক্যাডারের সঙ্গে তুলনা, শ্রীরামপুর কেন্দ্রে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ কল্যাণের
হাওড়া পুরসভা সংশোধনী বিল নিয়ে রাজ্য ও রাজ্য সরকার তরজা চরমে উঠেছে। তা নিয়ে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিনে প্রকাশ্যেই রাজ্যপালকে বিজেপির ক্যাডার তকমায় বিঁধলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
হাওড়া পুরসভা সংশোধনী বিল নিয়ে রাজ্য ও রাজ্য সরকার তরজা চরমে উঠেছে। তা নিয়ে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিনে প্রকাশ্যেই রাজ্যপালকে বিজেপির ক্যাডার তকমায় বিঁধলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। হাওড়ার ডোমজুড়ে তৃণমূলের দলীয় অনুষ্ঠান থেকে রাজ্যপালকে দ্ব্যর্থহীন ভাষা নিশানা করলেন, যা নিয়ে ফের রাজ্য-রাজনীতি সরগরম হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
হাওড়া পুরসভা সংশোধনী বিলে রাজ্যপাল সই না করায় ভোট বারবার স্থগিত হয়ে যাচ্ছে। সরকার চায় হাওড়া ও বালি পুরসভার পৃথকীকরণ। সে কারণে বিধানসভায় একটি বিল পাস করে পাঠানো হয় রাজ্যপালের কাছে। কিন্তু তিনি দিনের পর দিন নানা অছিলায় বিলে সই করছেন না বলে অভিযোগ তৃণমূলের।
এদিন রাজ্যপাল একটি টুইট করে জানান, হাওড়া পুরসভার সংশোধনী বিল নিয়ে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের সঙ্গে আলোচনা করতে চান। তিনি রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের কাছ থেকে এ বিষয়ে তথ্য চান। এদিন সেই প্রসঙ্গে উত্থাপন করেই রাজ্যপালকে নিশানা করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের দিকে একবার চেয়ে দেখুন। তাহলেই বুঝতে পারবেন তিনি বিজেপির কতবড় ক্যাডার। তিনি নিজেই তা বারেবারে প্রমাণ করে দিচ্ছেন। একটা রাজ্যের রাজ্যপাল তিনি বিজেপির চাকরবাকরের পর্যায়ে চলে গিয়েছে। রাজ্যপাল নামের লজ্জা তিনি।
এরপর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন ছুড়ে দেন, আপনি একজন রাজ্যপাল। আপনার লজ্জা লাগে না একটা পার্টির ক্যাডারের মতো আচরণ করতে। আপনি ইচ্ছাকৃতভাবে হাওড়ার পুরভোট করতে দিচ্ছেন না। অহেতুক আপনি ঝুলিয়ে রেখে দিয়েছেন হাওড়া ও বালির পৃথকীকরণের বিষয়টিকে।
তিনি আরও বলেন, আপনি কোন অধিকারে এবং কীসের জোরে বিলটিকে আটকে রাখতে পারেন না। আপনি সাংবিধানিক প্রধান হয়ে অসাংবিধানিক কাজ করছেন। প্রতি মুহূর্তে আপনি ভারতের সংবিধানকে লঙ্ঘন করছেন। এদিন তৃণমূলের মঞ্চে থেকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে কল্যাণ বলেন, রাজনীতি করার যদি এতই ইচ্ছা হয়েছে, তাহলে এই পদ ছেড়ে দিয়ে রাজনীতি করুন। আগামী লোকসভা কেন্দ্রে শ্রীরামপুর কেন্দ্র থেকে লড়ে দেখান। আমি চ্যালেঞ্জ দিলাম আপনাকে আড়াই লক্ষ্য ভোটে হারাব।
এদিন নাম না করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নিশানা করেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ডোমজুড় আজ অপশাসনহীন। অনেক অত্যাচার করেছেন এখান থেকে নির্বাচিত প্রাক্তনমন্ত্রী। সেইসব রুখে দিয়েছে সুশাসন এনেছে তৃণমূল। এদিন দুয়ারে চিকিৎসক অনুষ্ঠানে মমতা ক্লিনিকের উদ্বোধনি করেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মন্ত্রী অরূপ রায়। ছিলেন জেলা সভাপতি তথা ডোমজুড় কেন্দ্রের বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও।