পিকের আই প্যাককেই কাঠগড়ায় তুললেন কল্যাণ, নির্দল-কাঁটায় মহাবিপাকে তৃণমূল
রাজ্যের পুরভোটের আগে নির্দল কাঁটায় বিদ্ধ তৃণমূল। দলের অন্দরে এখনও ক্ষোভের আগুন জ্বলছে। পুরভোটে এতসংখ্যক নির্দল প্রার্থী ভোটা দাঁড়ানোর জন্য বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ দায়ী করেছেন ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আই প্যাককে।
রাজ্যের পুরভোটের আগে নির্দল কাঁটায় বিদ্ধ তৃণমূল। দলের অন্দরে এখনও ক্ষোভের আগুন জ্বলছে। পুরভোটে এতসংখ্যক নির্দল প্রার্থী ভোটা দাঁড়ানোর জন্য বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ দায়ী করেছেন ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আই প্যাককে। শুধু প্রশান্ত কিশোরই নয়, একইসঙ্গে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় নিশানা করছেন কলকাতার এক নেতাকে।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইঙ্গিত স্পষ্ট। তৃণমূলের রাশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং হাতে নিলেও এখনও দলের অন্দরে বিদ্রোহের আগুন ধিকধিক করে জ্বলছে। সেই আভাসই মিলল শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়। পুরভোটের প্রচারে বেরিয়ে তাঁর নিশানায় ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে উঠে এলও অভিষেকের নামও।
অভিষেকের নাম মুখে উচ্চারণ করেননি কল্যাণ। কিন্তু তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোরের সংস্থাকে দিয়ে সমীক্ষা করিয়ে কে প্রার্থী চূড়ান্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রশান্ত কিশোরের সংস্থাকে তুলোধনা করে শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আজকে প্রায় ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে সব সদস্যরা নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছেন। এ জন্য দায়ী পিকের সংস্থাই।
কল্যাণের কথায়, এতদিন কাজ করছি, এতদিন সাংসদ রয়েছি। আমাদের সঙ্গে কেউ আলোচনাই করল না। আই প্যাকের রিপোর্ট অনুযায়ী কলকাতার কোনও নেতার সুপারিশে বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রার নিয়োগ হয়ে গেল। এখন তাঁরাই নির্দল প্রার্থী হয়ে দলকে সমস্যায় ফেলে দিয়েছে। এতসংখ্যক নির্দলের জন্য আমাদের কালঘাম ছুটে যাচ্ছে।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সিরা যদি সেই সময় দেখতেন, কাদেরকে সদস্য করা হচ্ছে, তবে আজ এই পরিস্থিতি তৈরি হত না। আই প্যাকের সদস্যরা যেখানে যেখানে গিয়ে সার্ভে করেছেন, সেখানে আটজন-দশজনকে কথা দিয়েছেন আপনারাই প্রার্থী হবেন।
প্রশান্ত কিশোরের সংস্থাই সমস্যা তৈরি করেছে। আই প্যাক সবাইকে বলেছে আপনার ডিটেলস দিন, আপনিই প্রার্থী হবেন। এ এক অদ্ভুত ব্যাপারে। যা পরিস্থিতি আই প্যাকের ঠেলায় জান বেরিয়ে যাচ্ছে। একটা রাজনৈতিক দল নিজের মত অনুযায়ী চলবে। কখনও কন্ট্রাক্টর দিয়ে রাজনৈতিক দল চলে না।
কল্যাণের কথায় স্পষ্ট তৃণমূলে এখনও কোন্দল থামেনি। এখনও শীর্ষস্তরে বিদ্রোহের আগুন জ্বলছে। এখনও প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর সংস্থা নিয়ে দলের অন্দরে ক্ষোভ রয়েছে। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান সব দেখছেন। আশা করব চটজলদি এই ধরনের কাজকর্ম বন্ধ হোক। যেটা হচ্ছে তা একেবারেই ভোলা হচ্ছে না। বিজেপি কটাক্ষ করেছে, প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার উপর ভরসা করে বিধানসভা ভোটে জিতল, তখন কেন বললেন না কন্ট্রাক্টর দিয়ে দল চলে না।