বিজেপি ১৮টা এমপি পেয়ে দুটো হাফপ্যান্ট পরা মন্ত্রী দিয়েছে, প্রচারে গিয়ে খোঁচা কল্যাণের
বিজেপি ১৮টা এমপি পেয়ে দুটো হাফপ্যান্ট পরা মন্ত্রী দিয়েছে, প্রচারে গিয়ে খোঁচা কল্যাণের
২০১৯-এর নির্বাচনে বিজেপি ১৮ জন সাংসদ পেয়েছে। তাদের মধ্যে থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায় সুযোগ পেয়েছিলেন মাত্র দু'জন। তাও আবার হাফপ্যান্ট পরা মন্ত্রী। আসানসোলের তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার মনোনয়ন পেশের দিন বিজেপি ও মোদীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে জানালেন এবার আসানসোলে জিতবেন শত্রুঘ্ন সিনহা।
প্রত্যয়ী কল্যাণের আসানসোলে দাবি
এদিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কড়া আক্রমণ করে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, এখন আর তাঁদের কাউকে এখানে আসতে দেখা যায় না। দুবার জিতলেও এবার আর জিতবে না বিজেপি। প্রত্যয়ী কল্যাণ জানিয়ে দিলেন এবার আসানসোলে জিতবেন তারাই। এখান থেকে সংসদে যাবেন তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা।
কেন আসানসোলে বহিরাগত হব?
এদিন আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী উপনির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা দিলেন। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ও তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কর্মী-সমর্থক পরিবেষ্টিত হয়ে শত্রুঘ্ন সিনহা মনোনয়ন পেশ করেন। মানুষেক উচ্ছ্বাস দেখে আত্মবিশ্বাসী শত্রুঘ্ন জানান, তিনি বহিরাগত নন। নরেন্দ্র মোদী যদি বারাণসীতে বহিরাগত না হন, তাহলে আমি কেন আসানসোলে বহিরাগত হব? প্রশ্ন তোলেন নরেন্দ্র মোদী।
পাল্টা আসানসোলের বিজেপি প্রার্থীর
এর পাল্টা দিয়েছেন আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল, তিনি বলেন মোদী কেন বহিরাগত হতে যাবেন। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তো কাউকে বহিরাগত বলেননি। বলেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বাইরে থেকে এলেই বহিরাগত। তাই আমরা বলেছি শত্রুঘ্ন সিনহা বহিরাগত। এই তত্ত্ব তো আমাদের শিখিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীই।
টের পাবেন, কত ধানে কত চাল
এদিন শত্রুঘ্ন সিনহার সঙ্গে ছাযার মতো লেগেছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বিজেপি দুবার এখান থেকে জিতেছে তো কী হয়েছে, এবার হারবে। ২০১৯-এর লোকসভা বিজেপি ১৮টা সিটে জিতেছিল। তারপর ২০২১-এর বিধানসভায় ২০০-র হাঁক দিয়ে ৭০-এর গণ্ডিতেই আটকে যায়। এবার ২০২৪-এ মোদী টের পাবেন কত ধানে কত চাল।
শত্রুঘ্ন সিনহার হয়ে গলা ফাটালেন
কল্যাণ বলেন, ২০২৪-এ মোদীর গদি টলমল। বাংলা থেকে ১৮টা এমপি পেয়ে দুটো হাফপ্যান্ট মন্ত্রী দিয়েছেন মোদী। এখন আর তাঁদের দেখা যায় না। আসানসোলে এবার তৃণমূলই জিতবে। হুডখোলা গাড়িয়ে করে কর্মী সমর্থকদের মাধে দাঁড়িয়ে শত্রুঘ্ন সিনহার হয়ে গলা ফাটালেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজেপি সাংসদ এখন তৃণমূলের ঘরে
এদিন বহিরাগত তকমা নিয়ে সরাসরি মোদীকে নিশানা করেন কল্যাণ। আসানসোল কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ এখন তৃণমূলের ঘরে। তাই তৃণমূল আরও আত্মবিশ্বাসী জেতার ব্যাপারে। তাঁকে আবার প্রার্থী করা হয়েছে বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে। তিনিও এদিন আলিপুর সার্ভে বিল্ডিংয়ে মনোনয়ন পেশ করেন।
সব প্রাপ্ত বয়স্কের বুস্টার ডোজ! বিভিন্ন মহলের 'চাপে' বিবেচনায় মোদী সরকার