রাজীবের পর আরও এক প্রাক্তন বিধায়ক তৃণমূলে ফেরার পথে! গর্জে উঠলেন কল্যাণ
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরই গর্জে উঠেছিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রাজীবের তৃণমূলে এন্ট্রির প্রতিবাদ করেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করতেও তিনি পিছপা হননি সেই ইস্যুতে।
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরই গর্জে উঠেছিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রাজীবের তৃণমূলে এন্ট্রির প্রতিবাদ করেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করতেও তিনি পিছপা হননি সেই ইস্যুতে। এবার রাজীবের সঙ্গী প্রবীর ঘোষালকে নিয়েও একইভাবে মুখর হলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজীবকে টপ টু বটম করাপ্টেড বলে আখ্যায়িত করেছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, এবার প্রবীর ঘোষালের গায়েও সেঁটে দিলেন বেইমান তকমা। কারণ ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির খাতায় নাম লিখিয়েছিলেন। চাটার্ড বিমানে করে দিল্লি উড়ে গিয়ে তিনি যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। এখন তাঁরও মোহভঙ্গ হয়েছে। তিনিও ফিরতে চাইছেন তৃণমূলে।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে ভোটে দাঁড়িয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন প্রবীর ঘোষাল। তারপর ২০২১-এ তিনি ছুটেছিলেন মোহের পিছনে। চাটার্ড ফ্লাইটে করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তারপর মোহভঙ্গ হওয়ায় তিনি তৃণমূলে ফেরার জন্য লাইন দিয়েছেন সেই প্রবীর ঘোষালও। আর এবার তাঁর নাম না করেই কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি স্পষ্ট কথা বলি। ভাগ্যিস গত সপ্তাহে আসিনি। তাহলে বেইমানদের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করতে হত। আমি অন্তত বেইমানদের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করতে পারব না। কেননা আমি নাটক করি না। আমি স্পষ্ট বলি, স্পষ্ট বলতে ভালোবাসি, তাতে কারও ভালো লাগতে পারে, কারও ভালো লাগতে নাও পারে। তাতে আমার কিছু করার নেই।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজনীতি হল একটা সিরিয়াস জায়গা। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে সিরিয়াসনেস থাকছে না। গত সপ্তাহে কোন্নগরে একটি বইমেলার অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন প্রবীর ঘোষাল। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। সেদিনই তিনি জানান, তৃণমূলে প্রবীর এলে অসুবিধা নেই। আবার তিনি এখনও বিজেপি ত্যাগের কথা জানাননি প্রাক্তন বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। অথচ তিনি নিয়মিত তৃণমূলের মুখপত্রে লিখে যাচ্ছেন।
প্রবীর ঘোষালকে ঘুরিয়ে বেইমান বলে দলের সমালোচনা করতেও ছাড়লেন না কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর তৃণমূলের মুখপত্রে লেখা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন তিনি। সেইসঙ্গে মদন মিত্রের সমালোচনাও তিনি করলেন। আগে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রেও তৃণমূলের সমালোচনা করতে ছাড়েননি তিনি। এবার প্রবীর ঘোষালের ক্ষেত্রেও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কঠোর সমালোচনা করলেন। এবং যাঁরা দল ছেড়েছিলেন একুশের ভোটের আগে তাঁদের এন্ট্রি দেওয়ার ক্ষেত্রে এখনও অনড় তিনি।