রাজীবের তৃণমূলে ফেরা নিয়ে মমতার সঙ্গে সুনীল গাঙ্গুলির শরণ! টপ টু বটম করাপটেড, বিস্ফোরক কল্যাণ
রাজীবের তৃণমূলে ফেরা নিয়ে মমতার সঙ্গে সুনীল গাঙ্গুলির শরণ! টপ টু বটম করাপটেড, বিস্ফোরক কল্যাণ
নয়মাস আগে দল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) পরেই জোমজুড় থেকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে অন্তত ৩০ হাজার ভোটে হারানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তা হলেওছিল। এরপর তৃণমূলের ফেরা নিয়ে জল্পনা শুরু হতেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Rajib Banerjee) নিশানা করেছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। এদিন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলে (Trinamool Congress) প্রত্যাবর্তণের পরে তাঁকে দুর্নীতি গ্রস্ত বলে তোপ দেগেছেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ।
রাজীব দুর্নীতি গ্রস্ত
এদিন ত্রিপুরায় গিয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা হাতে নেওয়ার পরেই তোপ দাগলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলে জয়েন করিয়েছেন। বিষয়টি তাঁকে মেনে নিতে হবে। তবে গত ভোটের সময় মমতাদি জোমজুড়ে প্রচারের গিয়ে যে বলেছিলেন, গড়িয়াহাটে তাঁর ৩-৪ টে বাড়ি আছে, টাকার লেনদেন দুবাইয়ে, তা সত্ত্বেও কেন তাকে দলে নেওয়া হল তা শীর্ষ নেতৃত্বই বলতে পারবেন। শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদের প্রতিক্রিয়া রাজীব টপ টু বটম করাপটেড।
কল্যাণের গলায় আক্ষেপের সুর
এরই সঙ্গে এদিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় আক্ষেপের সুর। শ্রীরামপুরের সাংসদ সংবাদ মাধ্যমের সামনে বলেছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, দলের কোনও কর্মীর মনে আঘাত দেওয়া কোনও বিশ্বাসঘাতককে দলে ফেরত নেওয়া হবে না। নিজেকে এব্যাপারে দলের সাংসদ হিসেবে নয়স কর্মী হিসেবেই উল্লেখ করেছেন .কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই তিনি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের 'কেউ কথা রাখেনি' কবিতার আশ্রয় নিয়েছেন।
জুনেই তোপ দেগে ছিলেন কল্যাণ
ভোটের ফল বেরনোর পর থেকে অনেকেই যেমন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরেছেন, ঠিক তেমনই চেষ্টা শুরু করেছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষের সাক্ষাৎকেও কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। কল্যাণ বলেছিলেন, ভোটের ফল বেরনোর একমাস হতেও ঘুম চলে গিয়েছে রাজীবের। সে তৃণমূলে ফিরলে দলের কর্মী-সমর্থকরা মেনে নেবেন কিনা, তা দেখা দরকার বলেও বলেছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
দল বদলের পরেই রাজীব নিশানা করেছিলেন কল্যাণকে
হুগলির শ্রীরামপুর লোকসভার অধীন যে সাতটি বিধানসভা রয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে হাওড়ার ডোমজুড় বিধানসভাও। দল ছাড়ার পরেও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ডোমজুড়ে প্রচারে গিয়ে দাবি করেছিলেন ২০১৯-এ লোকসভা ভোটের আগে প্রার্থী নিয়ে সার্ভে হয়েছিল। সেই সার্ভেতে চতুর্থ স্থানে ছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কেই তিনি ডোমজুর থেকে ৫৫ হাজারের লিড দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি এও দাবি করেছিলেন ২০১৪ সালে ডোমজুড় থেকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ৪০ হাজারের লিড পেয়েছিলেন। এছাড়াও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করতে গিয়ে রাজীব বলেছিলেন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোজগার তো কেবল সরকারের ওকালতি করে।