নেত্রী মমতার নাম নিয়ে হিমালয়ও পেরিয়ে যেতে পারি! বিজেপিকে হারানোর অঙ্গীকার কল্যাণের
‘শোলে’র ডায়লগে মঞ্চ মাতালেন তৃণমূল সাংসদ। কর্মীদের উজ্জীবিত করতে মঞ্চে দাঁড়িয়ে শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন- ‘জো ডর গয়া, ও মর গয়া’।
'শোলে'র ডায়লগে মঞ্চ মাতালেন তৃণমূল সাংসদ। কর্মীদের উজ্জীবিত করতে মঞ্চে দাঁড়িয়ে শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন- 'জো ডর গয়া, সমঝো মর গয়া'। তাই ভয় পেলে দল থেকে সরে যান। ঘরের কোণে বসে থাকুন। দল করতে গেলে সাহস চাই। সাহস নিয়েই মোকাবিলা করতে হবে বিজেপির।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামটাই যথেষ্ট
কল্যাণ বলেন, আমাদের দলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামটাই যথেষ্ট। ওই নাম নিয়ে আমরা হিমালয়ও পেরিয়ে যেতে পারি। আর বিজেপি তো কোন ছাড়। সময় এলেই জবাব পাবে বিজেপি। তৃণমূল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। বাংলার মা-মাটি-মানুষের দল। এই দলকে হারাবার ক্ষমতা নেই বিজেপির।
তৃণমূলের বদ রক্ত বেরিয়ে গেছে
তাঁর কথায়, যারা দল থেকে চলে যাওয়ার চলে গেছে। বদ রক্ত বেরিয়ে গেছে। যারা চলে গিয়েছে তারাই আসল মাল কামিয়েছিল। এখন যারা তৃণমূল কংগ্রেসে আছেন তাঁরা দলের সম্পদ। তাঁদের নিয়েই দল লক্ষ্যপূরণে সফল হবে। আর তার জন্য সাহস দরকার। সাহস নিয়ে মোকাবিলা করতে হবে বিজেপির।
মারের বদলা মারের দাওয়াই
এদিন মারের বদলা মারের দাওয়াই দিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার জাঙ্গিপাড়ায় জনসভা করে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যদি বিজেপি আপনার হাত-পা ভাঙে, তাহলে আপনারাও বিজেপির হাত পা ভেঙে দিন। আর যদি তাও না পারেন তো জলে ডুবে মরুন। এভাবেই তিনি কর্মীদের উজ্জীবিত করতে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্যও করে বসেন।
পঞ্চায়েত সদস্যকে মঞ্চে ডেকে অদ্ভুত কাণ্ড
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় মঞ্চে ভাষণ দেওয়ার সময়ই এক পঞ্চায়েত সদস্যকে মঞ্চে ডেকে অদ্ভুত কাণ্ড ঘটান। তিনি ওই পঞ্চায়েত সদস্যকে বলেন, আপনি কি ভয় পাচ্ছেন? যদি ভয় পান ওই যে জল আছে, ওই জলে গিয়ে ডুবে মরুন। আর না পারলে ঘরে চলে যান। অনেক ছেলে আছে, তাঁরা সামনের সারিতে চলে আসবে।
কল্যাণের সমালোচনায় দিলীপ
এরপরই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, এসব কথা হতাশা থেকে বলছেন কল্যাণবাবু। উনিও বুঝতে পেরে গিয়েছেন মানুষ আর ওঁদের সঙ্গে নেই। তাই উনি ওই ধরনের বেফাঁস মন্তব্য করে ফেলেছেন। কেননা আর গুন্ডাবাজি করে জিততে পারবে না তৃণমূল।