
অনেক কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছি! অভিষেক তরজার মধ্যেই এজলাসে আবেগপ্রবণ কল্যাণ
কলকাতা হাইকোর্টে আবেগপ্রবণ তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। গত কয়েকদিন আগেই কলকাতা হাইকোর্টের বাইরে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলপন্থী আইনজীবীরা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণের জেরেই ছিল সেই বিক্ষোভ। শুহদু তাই নয়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগেও সরব হয়েছিলেন তৃণমূলপন্থী আইনজীবীরা।

এই ঘটনায় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোট্ট মন্তব্য ছিল, দিদি সব দেখছে।
এরপর আজ শুক্রবার শুনানি চলাকালীনই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ছেন শ্রীরামপুরের এই সাংসদ। এদিন রেশন ডিলারের একটি মামলায় বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের এজলাসে সওয়াল-জবাবে অংশ নিয়েছিলেন পেশায় আইনজীবী কল্যাণ। মামলায় এদিন অনেকটাই অন্যমনস্ক দেখায় তাঁকে।
মামলার শেষে কল্যানবাবুকে বিচারপতি জিজ্ঞেস করেন, 'আপনি কি শারিরীক ও মানসিক ভাবে সুস্থ আছেন? বিচারপতির উত্তরে কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আপাতত তিনি শারিরীক ভাবে সুস্থ আর মানসিকভাবে এলার্ট আছেন। কিন্তু হঠাত করেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। তাঁর কথায় উঠে আসে পুরনো স্মৃতি!
আর তা স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে একেবারে অতীতের দিনগুলিতে ফিরে যান সাংসদ কল্যান। বলেন, জীবনে অনেক কঠিন পরিস্থিতিতে পরেছেন। ভিখারী পাসোয়ান মামলায় তার ছেলেকে কিডন্যাপ করার হুমকির মুখে পরতে হয়েছিল। কিন্তু তিনি দমেননি বলে দাবি।
শুধু তাই নয়, এরপরেও বিভিন্ন সময়ে সমস্যার মুখে পড়েছেন, কিন্তু অবিচল ছিলেন। অতি সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের তৃণমূলপন্থী আইনজীবীদের একাংশ বিক্ষোভ দেখান। সেই প্রসঙ্গ সরাসরি না টেনে কল্যানবাবু জানিয়ে দেন তার জুনিয়ররা প্রায় সকলে আজ বিচারপতি।
প্রাক্তন এজি কিশোর দত্তের নাম না করে বলেন তার জুনিয়র একজন অ্যাডভোকেট জেনারেল হয়েছিলেন। তাই সবার ভালোবাসায় তিনি ভবিষ্যতেও এগিয়ে যাবেন। কার্যত তাঁর কথাতেই স্পষ্ট তিনি কোনও কিছুতেই দমে যাওয়ার পাত্র নন!
উল্লেখ্য গত কয়েকদিন আগে অভিষেকের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন শ্রীরামপুরের এই তৃণমূল সাংসদ। প্রকাশ্যে অভিষেককে নেতা বলে মানেন না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। আর তা নিয়ে চরম বিতর্ক তৈরি হয়। এই ঘটনার পরেই কলকাতা হাইকোর্টে ব্যাপক বিক্ষোভে নামেন তৃণমূলপন্থী আইনজীবীরা।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগেন তাঁরা। এমনকি মহিলা আইনজীবীদের সঙ্গেও কল্যাণবাবু খারাপ ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের।
শুধু তাই নয়, সম্প্রতি সাংসদের বিরুদ্ধে একটি চিঠিও প্রধান বিচারপতির কাছে তৃণমূলপন্থী আইনজীবীরা পাঠিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। আর তা নিয়ে হাইকোর্টে নয়া বিতর্ক তৈরি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি সাংসদ।