অধীর চৌধুরী বিজেপির সব থেকে বড় এজেন্ট! গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে কীভাবে কাজ, 'ফাঁস' করলেন কল্যাণ
এবার কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (kalyan banerjee) নিশানায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী(adhir chowdhury)। এদিন বাঁকুড়ার সভা থেকে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বিজেপির (bjp) সব থেকে বড় এজেন্ট।

বিজেপির এজেন্ট অধীর
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী রাজ্য বিজেপির সব থেকে বড় এজেন্ট। বাঁকুড়ার শুনুকপাহাড়ির জনসভা থেকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সিপিএম, কংগ্রেস এবং বিজেপি, এই তিনটি নাম আলাদ হলেন আদতে এরা এক। তিনি বলেন, যাঁরা সাংসদ তারা জানেন, পিছনের দরজা দিয়ে অধীর চৌধুরী কতবার প্রধানমন্ত্রী কাছে যান, আর বিজেপি সাংসদদের চিরকুট দেন, পাড়ায় কী কী বলতে হবে।

কংগ্রেসের টিকিটে জিততে পারবেন না অধীর
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুর থেকে কংগ্রেসের টিকিটে জিততে পারবেন না অধীর চৌধুরী। তাই বিজেপিকে সাহায্য করছেন অধীর চৌধুরী।

লোকসভা ভোটে আরএসএস-এর সাহায্য নেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন মমতা
প্রসঙ্গত উল্লেখ করা প্রয়োজন, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে মুর্শিদাবাদে গিয়ে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে আরএসএস-এর সাহায্য নেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই সময় অভিযোগ ছিল জঙ্গিপুরে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় এবং বহরমপুরে অধীর চৌধুরীর হয়ে প্রচার করছে আরএসএস।

প্রতিদিনই তৃণমূল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁকুড়ায় গিয়ে বলেছেন, রাজ্যে পরিযায়ীদের জন্য কাজের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি করোনা আক্রান্তদের জন্য দেড় থেকে দুলক্ষ টাকা খরচ দিচ্ছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর এইসব কথাার প্রতিবাদ মঙ্গলবার করেছিলেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেছিলেন, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মিথ্যা বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই মিথ্যার বহর বাড়ছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তিনি বলেছিলেন বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড রোগীরা চিকিৎসার খরচ মেটাতে পারছেন না। পাশাপাশি ঠিক কতজন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন আর কত মারা যাচ্ছেন, সেই তথ্যও গোপন করার অভিযোগ করেছিলেন অধীর চৌধুরী। পরিযায়ীদের কাজ দেওয়া প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী বলেন, ভোটের মুখে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে সভাবসিদ্ধ মিথ্যাচার শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন সত্যিটা বাংলার মানুষের স্মৃতি থেকে মুছে দিতে পারবেন না মুখ্যমন্ত্রী। সময় এলে মানুষ তার যোগ্য জবাব দেবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
ভোটের পারদ ক্রমেই চড়ছে বাংলায়! মমতাকে খোলা চ্যালেঞ্জ অধীরের