অভিষেকের 'ব্যক্তিগত' মত মমতা সরকারের বিরুদ্ধে! কল্যাণের বিস্ফোরক মন্তব্যে তৃণমূলে 'বিদ্রোহ'
সংক্রমন যেখানে বাড়ছে সেখানে বছরের প্রথমদিনে এমপি কাপ করে কার্যত প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যদিও পরবর্তীকালে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে কার্যত মাস্টারস্ট্রোক দেন তিনি। একদিনে ৫০ হাজার টেস্ট। শুধু তাই নয়, দ
সংক্রমন যেখানে বাড়ছে সেখানে বছরের প্রথমদিনে এমপি কাপ করে কার্যত প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যদিও পরবর্তীকালে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে কার্যত মাস্টারস্ট্রোক দেন তিনি। একদিনে ৫০ হাজার টেস্ট। শুধু তাই নয়, দু'মাস রাজনৈতিক ও ধর্মীয় কর্মসূচি বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেন।
অভিষেকের এই 'ডায়মন্ডহারবার মডেল' নিয়েই এখন তৃণমূলে বিদ্রোহ! প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন দলের আর এক সাংসদ। অবস্থা সামলাতে ময়দানে নামেও কুণাল। কিন্তু তাঁকে কার্যত ওই সাংসদের তোপের মুখে পড়তে হয়। আর তা নিয়ে কার্যত চরম অস্বস্তিতে শাসকদল।
'বিদ্রোহী' সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অভিষেক এখন এই মুহূর্তে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদে রয়েছেন। আর তা সর্বক্ষণের। সেই পথে থেকে কখনও ব্যক্তিগত মতামত হতে পারে না বলে বিস্ফোরক দাবি শ্রীরামপুরের সাংসের। শুধু তাই নয়, তাঁরও অনেক ব্যক্তিগত মত আছে বলেও দাবি করেন।
কিন্তু দলীয় শৃঙ্খলার কারণেই তা প্রকাশ্যে বলা যায় না বলেও মন্তব্য কল্যাণ বন্দ্যোপাধায়ের। তাঁর মতে, অভিষেকের এহেন মতামত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধাচরণ। সাংসদের এক বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার সামনে আসতেই কার্যত চরম অস্বস্তিতে পড়ে যায় তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।
রীতিমত অবস্থা ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামতে হয় কুণাল ঘোষকে। নরমে-গরমে কার্যত কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নেন তিনি। পাশে দাঁড়ান অভিষেকরই। কুণাল বলেন, এই মুহূর্তে দলের সর্বাধিনায়িকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এরপরেই রয়েছেন অভিষেক। আর তাঁর মতো কোনও নেতা কিছু বললে সৈনিক হিসাবে তা শোনা উচিৎ বলেই দাবি কুণালের।
এমনকি কোনও মন্তব্য করার আগে সমস্ত কিছু ভেবে দেখা দরকার বলেও নাম না করে কল্যাণকে কটাক্ষ কুণাল ঘোষের। এমনকি দলের সৈনিক হয়েও এহেন মন্তব্য অবাঞ্ছিত বলেও তোপ তাঁর। এখানেই শেষ নয়, কুণালের মতে অনেক সময়তেই সংঠনের মুখ থেকেও মনের কথা বেরিয়ে আসে।
কিন্তু যিনি না যারা প্রশাসনে থাকেন তাঁদের অনেক বাধ্যবাধ্যকতা রয়েছে বলে মনে করেন তৃণমূলের এই প্রাক্তন সাংসদ। তবে তাঁর মতে, করোনা পরিস্থিতি যদি হাতের বাইরে চলে যায় তাহলে অবশ্যই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথেই হাঁটা হবে।
অন্যদিকে কুণালের এহেন মন্তব্যের পরেই ফের একবার ময়দানে নামেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, যদি কুণালের মতো কোনও ব্যক্তির বক্তব্য শুনতে হয় আমাকে তাহলে বোধহয় আমার মরে যাওয়া উচিৎ। এখানেই শেষ নয়, এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাংসদ আরও বিস্ফোরক মন্তব্য করেন।
বলেন, আমি অভিষেককে নেতা বলে মানি না। উনি একজন পদাধিকারি মাত্র। এমনকি গোয়া-ত্রিপুরাতে জিতে দেখানোর চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দিয়েছেন কল্যাণ। তাঁর এহেন মন্তব্যের পরেই কার্যত বিদ্রোহ তৃণমূলে। একের পর এক তৃণমূল নেতাকে নাম না করে কল্যাণকে আক্রমণ শানাতে শোনা গিয়েছে।
যদিও বিরোধীদের এই 'বিদ্রোহ' শব্দে আপত্তি কুণালের। তাঁর মতে, ''তৃণমূলের মধ্যে যে স্ববিরোধিতা কাজ করছে, তা একেবারেই নয়''।