রাজ্যপালের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের যোগ! 'প্রমাণ' দিয়ে কলকাতা পুলিশের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি কল্যাণের
রাজ্যপালের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের যোগ! 'প্রমাণ' দিয়ে কলকাতা পুলিশের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি কল্যাণের
রাজ্যে সরকার ও রাজ্যপালের সংঘাত একটা নতুন মাত্রা পেল। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে করে অপরাধীদের সঙ্গে রাজ্যপালের জগদীপ ধরখড়ের ( jagdeep dhankhar) সংযোগের অভিযোগ করেন তৃণমূল (trinamool congress) সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (kalyan banerjee)। পাশাপাশি তদন্তকে তিনি প্রভাবিত করছেন বলেও অভিযোগ করেছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যা। যদিও এব্যাপারে রাজ্যপালের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত বুধবারও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যপাল ক্রিমিনালদের নিয়ে ঘুরছেন।
দুই অভিযুক্তের গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যপাল
দিন কয়েক আগে লেকথানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট গোবিন্দ আগরওয়ালকে। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল আয়কর সংক্রান্ত প্রচুর নথি। পুলিশের অভিযোগ ছিল, ভুয়ো সংস্থা খুলে কালো টাকা সাদা করায় যুক্ত তিনি। এই গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তুলে টুইট করেছিলেন রাজ্যপাল। বিষয়টি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যপাল। টুইটে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ এক চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টকে গ্রেফতার করে কয়লা ও গরু পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি তিনি সুদীপ্ত রায়চৌধুরী নামে এক ব্যবসায়ীর গ্রেফতারি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন বলে অভিযোগ।
রাজ্যপালকে জবাব কল্যাণের
এদিন তৃণমূল ভবনে করা সাংবাদিক সম্মেলনে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, যেসব ব্যক্তিরা কয়লা পাচারা, মানুষ পাচার এবং গরু পাচারে যুক্ত তাদের হয়ে কেন টুইট করছেন রাজ্যপাল। এব্যাপারে তিনি গোবিন্দ আগরওয়াল এবং সুদীপ্ত রায়চৌধুরীর নাম উল্লেখ করেন। কেন অভিযুক্তদের সমর্থনে রাজ্যপাল এগিয়ে আসছেন, সেই প্রশ্ন করেছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও বলেন সুদীপ্ত রায়চৌধুরী ইডির নাম করে ভুয়ো তথ্য পেশ করেছে। পাশাপাশি এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে রোজভ্যালির মতো প্রতারণা মামলাও রয়েছে।
তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা
একইসঙ্গে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল। পুলিশ আধিকারিকদের তদন্তে বাধা দিয়ে রাজ্য অসংবিধানিক কাজ করছেন বলেও অভিযোগ করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যাঁরা সরকারি কাজে বাধা দেন কিংবা তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ১৮৬ এবং ১৮৯ ধারায় ব্যবস্থা নেওয়া যায় বলেও উল্লেখ করেন তৃণমূল সাংসদ। তাঁর অভিযোগ, বারবার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে টুইটে টার্গেট করে তদন্তকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল।
রাজ্যপালের অপরাধী যোগ, কলকাতা পুলিশের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, রাজ্যপালের সঙ্গে অপরাধীদের সরাসরি যোগ রয়েছে। কলকাতা পুলিশের কাছে এব্যাপারে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে এখনও ফৌজদারি মামলা চালু হওয়া উচিত। তিনি রাজ্যপালকে উপদেশ দিয়ে বলেন সংবিধানের ১৬৩ নম্বর ধারা ভাল করে পড়ুন।
বাঁকুড়ার সভা থেকে দিয়েছিলেন হুঁশিয়ারি
বাঁকুড়ার শুনুকপাহাড়ির সভা থেকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, তিনি (ধনখড়) রাজস্থান থেকে এসেছেন। কিন্তু তিনি এরাজ্যের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, লড়াই ও তৃণমূলের সংগ্রাম সম্পর্কে জানেন না। একইসঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, অমিত শাহদের নির্দেশে রাজ্যপাল ৩৫৬ ধারা জারির পথে হাঁটলে কলকাতার রাজপথে তাঁর গাড়ি ঘুরবে না। রাজ্যপাল বিজেপির এজেন্ট বলেও কটাক্ষ করেছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবার দাদার পুলিশে ভোট! প্রশাসনকে আক্রমণ করতে 'শোলে'র ডায়লগ হাতিয়ার বিজেপির রাজুর