চেনকিলার কামরুজ্জামানকে ফাঁসির সাজা কালনা মহকুমা আদালতের
চেনকিলার কামরুজ্জামানকে ফাঁসির সাজা কালনা মহকুমা আদালতের
একাধিক খুনের মামলায় দোষীসাব্যস্ত করে চেনকিলার কামরুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিল কালনা মহকুমা আদালত। এদিন সিরিয়াল কিলার কামরুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনান কালনা মহকুমা আদালতের বিচারক তপনকুমার মণ্ডল।
কলকাতার স্টোনম্যানের মতোই তাকে নিয়েও আতঙ্ক ছড়িয়েছিল গোটা বর্ধমান জেলাজুড়ে। একের পর মহিলাকে খুন করে ধর্ষণের অভিযোগ ছিল কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার একাকী মহিলারাই ছিল তার টার্গেট। খুনের ছক কষে নানান অছিলায় ওই মহিলাদের বাড়িতে ঢুকে পড়ত 'চেনম্যান'। এরপর প্রথমে লোহার রড দিয়ে মেরে মহিলাকে কাবু করে, গলায় চেন পেঁচিয়ে খুন করত সে। খুনের পর মহিলার বাড়ি থেকে লুঠ করত তাঁর গয়না।
গতবছর কালনায় ৬ মাসে ৬ জন মহিলা রহস্যজনকভাবে খুন হন। ২০১৯-এর জুন মাসে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে কামরুজ্জামানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তে উঠে আসে, কখনও ইলেকট্রিক মিস্ত্রি, আবার কখনও ইলেকট্রিক সাপ্লাইয়ের কর্মী সেজে একাকী মহিলাদের বাড়িতে ঢুকে যেত এই ব্যক্তি। তারপর সুযোগ বুঝে লোহার চেন দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করত এই কামরুজ্জামান। এর আগে কালনায় এবং টাকাপয়সা, সোনার গয়না দিয়ে চম্পট দিত। গ্রেফতারের পর তার ব্যাগ থেকে লোহার রড ও একটি চেনও উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর আদি বাড়ি মুর্শিদাবাদে হলেও সমুদ্রগড়ের সুজননগরে সে থাকত। দুই ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে ছিল সংসার। নেশা ছিল, নতুন বাইক কেনা ও দামি ব্র্যান্ডের পোশাক পরা। শান্ত শিষ্ট কামরুজ্জামান সিরিয়াল কিলার হিসেবে ধরা পড়ায় সে সময় হতবাক হয়ে গিয়েছিল গোটা এলাকা। গত বছর ৩ জুন লালবাইক ও লাল হেলমেটের সূত্র ধরে পুলিশের জালে ধরা পড়ে সিরিয়াল কিলার কামরুজ্জামান সরকার। তার বিরুদ্ধে একাধিক মহিলাকে চেন দিয়ে গলা পেঁচিয়ে খুনের অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে।
গত শুক্রবারই তাঁকে একাধিক খুনের মামলায় দোষীসাব্যস্ত করে আদালত। এদিন তাঁকে ৩০২ ধারায় মৃত্যুদণ্ডের সাজা সোনায় নিম্ন আদালত। তবে নিম্ন আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছেন কামারুজ্জামানের আইনজীবী।
বউ বাজারে মেট্রোর কাজে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে হাইকোর্টে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোকে