কালিয়াগঞ্জে বিধানসভার উপনির্বাচন ঘিরে তৃণমূলের প্রচার তুঙ্গে
কালিয়াগঞ্জে বিধানসভার উপ নির্বাচন ঘিরে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তুঙ্গে। এই কেন্দ্রের কংগ্রেস বিধায়কের মৃত্যুর পর জায়গাটি দখল করতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল–বিজেপি দু’জনেই। বৃহস্পতিবার কালিগঞ্জে তৃণ
কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে ভোটগ্রহনের শেষ মুহূর্তের প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে সবকটি রাজনৈতিক দল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে প্রচারে নেমে পড়ে রাজ্যের দুই মন্ত্রী সহ নেতৃত্বরা। এদিন কালিয়াগঞ্জে মহামিছিল করে ভোটের হাওয়া তুলল তৃনমূল কংগ্রেস। শহরের শিমুলতলা মাঠ থেকে নির্বাচনী মহামিছিলের প্রচার শুরু হয় কালিয়াগঞ্জ শহর জুড়ে।
এই মহামিছিলে অংশ নেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব, শ্রম দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী গোলাম রব্বানি, ও তৃনমূল জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। এছাড়া করনদিঘীর বিধায়ক মনোদেব সিনহা, তৃনমূল শ্রমিক সংগঠন আইএন টিটি ইউসি'র জেলা সভাপতি অরিন্দম সরকার, কালিয়াগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক চন্দ্র পাল, সহ কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীপা সরকার থেকে শুরু করে জেলা যুব তৃনমূল কংগ্রেস সভাপতিরাও নেমে পড়েন বৃহস্পতিবারের মহামিছিলে।
মিছিলে পা মেলান কয়েক হাজার তৃনমূল কর্মী সমর্থক। মিছিলে থাকা তৃনমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা এলাকার সাধারন মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি প্রার্থী তপন দেব সিংহের হয়ে ভোট প্রার্থনাও করেন। তবে এই উপনির্বাচনে মূলত লড়াই হতে চলেছে তৃনমূল কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির।
রাজ্যে তৃনমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা এখনও অধরা শাসক দল তৃনমূল কংগ্রেসে। কালিয়াগঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক প্রমথ নাথ রায়ের মৃত্যুতে এই আসনে উপনির্বাচন হতে চলেছে। বিজেপি বিগত লোকসভায় এই কেন্দ্র থেকে ৫০ হাজারের বেশি ভোট পেলেও সাম্প্রতিক কালে এনআরসি আতঙ্কে সাধারণ মানুষ অনেকেই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন গেরুয়া শিবির থেকে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের এনআরসি নিয়ে অভয়দান ও সার্বিক উন্নয়নের উপর আস্থা রাখতে চাইছেন কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা এলাকার মানুষ। তৃনমূল কংগ্রেসের বৃহস্পতিবারের নির্বাচনী প্রচারের মহামিছিল কে কেন্দ্র করে সাধারন মানুষের উৎসাহ উদ্দীপনা গেরুয়া শিবিরকে জোর ধাক্কা দেবে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।