অমিতাভ থেকে উত্তম-সুচিত্রা, তারকা সমাবেশের ফাটাকেষ্ট'র পুজোয় আজ করোনা কালে নেই কোনও আড়ম্বর
অমিতাভ বচ্চন থেকে উত্তর কুমার, শত্রুঘ্ন সিংহা থেকে সুচিত্রা সেন, বোম্বে শিল্পী থেকে বাংলার শিল্পী! ফাটাকেষ্ট-র পুজোয় এমন আড়ম্বরই দেখে এসেছে কলকাতা। সত্তর থেকে আশির দশক কলেজ স্ট্রিট চত্বরের জনপ্রিয় ফাটাকেষ্ট পুজো মানেই আলোর রোশনাই আর শিল্পীদের সমাহার। কোভিড কালে সেই আড়ম্বরেই এবার ভাঁটা! এবছর ৬৩ বছরে পা রাখল ফাটাকেষ্ট-র পুজো।

কীভাবে অমিতাভ বচ্চনকে নিজের পুজোয় নিয়ে এসেছিলেন ফাটাকেষ্ট
ফাটাকেষ্টর পুজোর বর্তমান উদ্যোগাদের মুখেই জানা যায়, আমহার্স্ট স্ট্রিট পাড়ার কোনও এক জর্দার দোকানে সিনেমার পরিচালক দুলাল গুহের যাতায়াত ছিল। সেখান থেকেই সূত্র তৈরি করেন ফাটাকেষ্ট। এরপর পরিচালক যেখানে ছিলেন অর্থাৎ গ্র্যান্ড হোটেলে পৌঁছে যান ফাটাকেষ্ট। সেখানে পুজো উদ্বোধনের অনুরোধ ফেলতে পারেননি অমিতাভ। সেবার পুজো উদ্বোধন করতে এসে পুজোর গলির বাইরে বড় স্টেজে 'নমকহারাম' সিনেমার ডায়ালগ শুনিয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন। কলেজ স্ট্রিট থেকে আমহার্স্ট স্ট্রিট, গোটা এলাকা হাততালিতে ফেটে পড়েছিল।

বোম্বে থেকে প্রথম আসেন শত্রুঘ্ন সিংহা
পুজো উদ্যোগাদের থেকেই জানা যায়, প্রথমবার বোম্বে স্টারদের মধ্যে শত্রুঘ্ন সিংহাকে এনেছিলেন ফাটাকেষ্ট। কলেজ স্ট্রীটের এই পুজোয় এরপর একে একে অমিতাভ বচ্চন, রাজেশ খান্না বোম্বে স্টাররা আসতেন। যারপর ক্রমে কলেজ স্ট্রিটের নবযুবক সংঘের পুজো ফাটাকেষ্ট-র পুজো নামে পরিচিত তৈরি করতে থাকে।

উত্তমকুমার থেকে সুচিত্রা সেন এসেছেন
আরও জানা যায়, বোম্বের শিল্পীদের পাশাপাশি বাংলায় শিল্পী উত্তরকুমার থেকে সুচিত্রা সেন এই পুজোয় আসতেন। বিশেষ করে উত্তর কুমার প্রতিবছরই এই পুজো আসতেন বলে পাড়ার লোকেদের কাছে ঘরের ছেলেয় পরিণত হয়েছিলেন।

১৫ দিন ধরে পুজো
একসময় ফাটাকেষ্ট-র কালী পুজো ঘিরে উত্তর কলকাতায় কলেজ স্ট্রিট অঞ্চল উৎসবের চেহারা নিত। উদ্যোগতাদের মতে, এক সময় ১৫ দিন ধরেও পুজো হত। ভাতৃদ্বিতীয়ার দিন বাংলায় শিল্পীদের দিয়ে গানের অনুষ্ঠানের বিশেষ রীতি ছিল। শুধু তাই নয় কলেজ স্ট্রিট থেকে আমহার্স্ট স্ট্রিট পর্যন্ত পুরো অঞ্চল আলোর রোশনাইতে মুড়ে ফেলা হত।

কোভিড কালে নেই কোনও আড়ম্বর
অতিমারির সময় অবশ্য এবছর কোনও আড়ম্বর থাকছে না। ভিড় এড়িতে চলতে পুজোর দিনগুলিতে বাইরের স্টেজে কোনও অনুষ্ঠান ও করা হচ্ছে না। সেই সঙ্গে মণ্ডপের ভিতরেও দূরত্ববিধি মেনে চলা আবশ্যক করা হয়েছে।