ঘন্টায় ৬৯ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়ল কালবৈশাখী! ভেঙে পড়ল 'বুর্জ খালিফা'
শুষ্ক মার্চ মাসের পর এপ্রিলটাও শুকনোই কাটবে, এমনটাই ভেবেছিলেন প্রত্যেকে। চাতকের মতো অপেক্ষা করছিল দক্ষিণবঙ্গবাসী। তবে এপ্রিলের একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে হাওয়া বদলেছে। শনিবারের পর রবিবার সন্ধ্যাও ভিজল অঝোর বৃষ্টিতে। সকালে র
শুষ্ক মার্চ মাসের পর এপ্রিলটাও শুকনোই কাটবে, এমনটাই ভেবেছিলেন প্রত্যেকে। চাতকের মতো অপেক্ষা করছিল দক্ষিণবঙ্গবাসী। তবে এপ্রিলের একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে হাওয়া বদলেছে। শনিবারের পর রবিবার সন্ধ্যাও ভিজল অঝোর বৃষ্টিতে। সকালে রোদ থাকলেও জমে গেল উইকেন্ডের সন্ধ্যা।
আকাশ কালো করে উঠল কালবৈশাখী ঝড়। কয়েক মিনিটেই লণ্ডভণ্ড সবকিছু। আর তারপরই নেমেছে মুষলধারায় বৃষ্টি। রাত বাড়লেও বৃষ্টির কমতি নেই। রবিবার রাতটা মোটামুটিভাবে এসি ছাড়াই কাটবে সাধারণ মানুষের! বলে রাখা প্রয়োজন, শনিবার থেকেই ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বদলাবে। এমনটাই জানিয়েছিল আলিপুর হাওয়া অফিস। আর সেই পূর্বাভাস মেনেই ঝড়-বৃষ্টি শুরু বঙ্গে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় ৬৯ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়েছে কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে। শনিবার ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি হলেও এটাই প্রথম কালবৈশাখী বলে দাবি করেছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে এই স্বস্তির পরিবেশ আগামী কয়েকদিনও থাকবে বলে জানা গিয়েছে। সোম এবং মঙ্গলবার প্রবল ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলেছে হাওয়া অফিস। কালবৈশাখীর দাপটও চলবে দু'দিন ধরে।
কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাতে এই পরিস্থিতিই বজায় থাকবে বলে জানাচ্ছেন হাওয়া বিদরা।
উত্তরপ্রদেশ থেকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হয়েছে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে পূবালি হাওয়া। এই দুইয়ের প্রভাবে আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা কমবে বলে জানা গিয়েছে। রবিবার কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া সহ একাধিক জায়গায় ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। যার জেরে এক ধাক্কায় তাপমাত্রার পারদও নেমেছে। এর আগে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি হলেও দক্ষিণবঙ্গের কবলে জোটেনি কিছুই। হাঁসফাঁস করছিলেন মানুষ। এই অবস্থায় পরপর দুদিনের বৃষ্টিতে ফিরেছে স্বস্তি।
ইদ উপলক্ষে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে বুর্জ খালিফার আদলে একটি প্যাণ্ডেল তৈরি করা হয়েছিল, ঝড়ের দাপটে সেটা ভেঙে পড়েছে। পুকুরের উপর বাঁশ, প্লাই, কাপড় ইত্যাদি দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল প্যাণ্ডেল। আর তা ঘিরে মানুষের উন্মাদনাও বাড়ছিল তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই প্যান্ডেল দর্শন করেও ফেলেছেন বহু মানুষ। আর এবার সেটা ইদের আগেই ভেঙে পড়েছে। অন্যান্য জেলাতেও বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।