ফাগুন-বিকেলে হানা কালবৈশাখীর! বসন্তের বর্ষায় শিলা বৃষ্টির স্বাদ পেল বাঙালি
ফাগুন-বিকেলে হানা দিল কালবৈশাখী। এক অবশ্য অকাল-বৈশাখী বলাই ভালো। বৃষ্টিতে ভিজল কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। শুধু বৃষ্টিভাজে বিকেল বা সন্ধ্যাই নয়, প্রথম কালবৈশাখীতেই 'টুপটাপ ঠুসঠাস চড়বড়াবড় শব্দে শিল পড়ল, সেইসঙ্গে বজ্রপাত ও ঝোড়ো হাওয়াও বইল বেশ।

পশ্চিমী ও পূবালি হাওয়ার সংঘাত
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, পশ্চিমী ও পূবালি হাওয়ার সংঘাতেই এই ঝড়-বৃষ্টি। জোড়া ঘূর্ণাবর্তের কারণেই এই বৃষ্টিপাত বলে জানিয়েছেন আবহবিদরা। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস সপ্তাহজুড়েই বৃষ্টি হবে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে। তবে এই বৃষ্টির দাপট তেমন থাকবে না।

জেলাজুড়ে শিলাবৃষ্টিও হয়েছে ব্যাপক
আবহাওয়ার পূর্বাভাস মতোই জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে প্রবল ঝড়বৃষ্টি হয়। বৃষ্টি হয়েছে ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ায়। মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া ও কলকাতায় শিলাবৃষ্টিও হয়েছে ব্যাপক।


জোড়া ঘূর্ণাবর্তের কারণে বৃষ্টি
আবহাওয়া দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত আছে, তেমনই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপরও একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। দুই ঘূর্ণাবর্তের ফলে সপ্তাহভর বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। মঙ্গলবার থেকেই তার সূত্রপাত হয়ে গেল।