এখানে শীতলকুচি বানাবেন না, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে হুঁশিয়ারি কাকলি ঘোষ দস্তিদারের
এখানে শীতলকুচি বানাবেন না, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে হুঁশিয়ারি কাকলি ঘোষ দস্তিদারের
প্রথম দফার নির্বাচনের পর থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ শাসকদল তৃণমূলের। ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগ থেকে শুরু করে তৃণমূল এজেন্টদের বসতে না দেওয়ার অভিযোগ। বাহিনী নিয়ে একাধিকবার কমিশনের দ্বারস্থ পর্যন্ত হয় তৃণমূল কংগ্রেস। আর এই বিতর্কের মধ্যেই শীতলকুচির ঘটনা ঘটে যায়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যু ঘটে। যা নিয়ে উত্তাল এখনও রাজ্য-রাজনীতি।
শীতলকুচি বানাবেন না, হুঁশিয়ারি কাকলির
পঞ্চম দফার নির্বাচন চলছে। এই দফার নির্বাচনেও সকাল থেকে একগুচ্ছ অভিযোগ সামনে এসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে। একাধিক জায়গাতে ভোটারদের প্রভাবিত করারও অভিযোগ রয়েছে বাহিনীর বিরুদ্ধে। এমনটাই দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের। এই অবস্থায় মেজাজ হারালেন সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। এদিন বুথে ভোট দিতে যান কাকলীদেবী। সেই সময় কেন্দ্রীয় বাহিনী কিছু একটা বলেন। আর সেই সময় মধ্যমগ্রামে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আঙুল উঁচিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, শীতলকুচি বানাবেন না।
পঞ্চম দফাতেও গুলি চালানোর অভিযোগ
পঞ্চম দফার ভোটে ফের কেন্দ্রীয় বািহনীর বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ। এবার দেগঙ্গার চাকলা গ্রামে কেন্দ্রীয় বাগিনী গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ। বুথের কাছে জমায়েত হঠাতে গিয়ে গুলি চালায় বলে দাবি। শূন্যে প্রায় ১ রাউন্ড গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আতঙ্কে পালাতে গিয়ে বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী আহত হয়েছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য চতুর্থ দফার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার জন মারা গিয়েছিলেন শীতলকুচিতে। সেই নিয়ে উতপ্ত রাজ্য রাজনীতি।
যদিও গুলি চলেনি বলেই দাবি
পঞ্চম দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনী কোনও গুলি চালায়নি বলে পাল্টা জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ঘটনার পরেই বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসে নির্বাচন কমিশন। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়। তাতে কোনও গুলি চালানো হয়নি বলেই অভিযোগ।
পকেট সার্চ কেন্দ্রীয় বাহিনীর
এদিন কামারহাটির ১৬৫/১৬৬ নম্বর বুথে ঢুকতে গেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী তাঁকে বাধা দেয়। তাঁক পকেটও সার্চ করে। এতেই চটে যান তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্র। সেখানে তিনি বলেন, মাই নেম ইজ মদন মিত্র। পাল্টা প্রশ্ন করেন, কাকে ভয় দেখাচ্ছো, মদন মিত্রকে? পকেট সার্চ করছ? তাঁর পকেট থেকে বেরিয়ে আসে একাধিক দেবদেবীর ছবি। মদন মিত্র বলেন, এটা গণতান্ত্রিক দেশ। তিন বিষয়টি নিয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন।
সুজিত বসুকেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর বাধা
সুজিত বসুকে কেন্দ্রীয় বাহিনী বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ। শুধু শাসকদল তৃণমূল নয়, বিজেপির একাধিক প্রার্থীকেও আজ বুথে ঢুকতে দেওয়ার সময় বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।