রাজ্য বিজেপি থেকে অপসারিত হচ্ছেন ‘হেভিওয়েট’ নেতা! জল্পনা মিশন ২০২১-এর টিমে
রাজ্য বিজেপি ২০২১-এর লক্ষ্যে এখন থেকেই পাকাপাকি টিম তৈরি করে নিতে চাইছে। সেই লক্ষ্যেই মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে বৈঠক। আর এ বৈঠকে বাদ পড়তে পারেন এক হেভিওয়েট নেতা।
রাজ্য বিজেপি ২০২১-এর লক্ষ্যে এখন থেকেই পাকাপাকি টিম তৈরি করে নিতে চাইছে। সেই লক্ষ্যেই মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে বৈঠক। আর এ বৈঠকে বাদ পড়তে পারেন এক হেভিওয়েট নেতা। যদিও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে নয়, তাঁকে অন্য কোনও রাজ্যে ব্যবহার করতেই এবার পদক্ষেপ নিয়েছে বিজেপি। এ রাজ্য থেকে সরিয়ে তাঁর দায়িত্ব বর্তাচ্ছে অন্য রাজ্যের।
তিনি কৈলাশ বিজয়বর্গীয়
তিনি আর কেউ নন, কৈলশ বিজয়বর্গীয়। এতদিন বাংলার পর্যবেক্ষক হিসেবে তিনি কাজ করে গিয়েছেন। তবে লোকসভার আগে অরবিন্দ মেননকেও তাঁর সহকারী করে আনা হয়েছিল এ রাজ্যে। লোকসভায় বাংলায় উত্থানের পর আর একসঙ্গে দু-জনকে এ রাজ্যে রাখতে চাইছে না কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
মেনন আর কৈলাশ
সেই কারণেই অরবিন্দ মেননকে রেখে কৈলাশকে অন্য রাজ্যে পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপি। কৈলাশ এতদিন রাজ্যে কাজ করলেও, অরবিন্দ মেনন বাংলা জানেন। তাই বাংলায় তাঁকে রেখে কৈলাশকে আরও বড় দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হচ্ছে অন্য রাজ্যে। তবে কী সে দায়িত্ব, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
কৈলাশ-মুকুল জুটিতে ভাঙন
এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে রাজ্যে কৈলাশ-মুকুল জুটি ভেঙে যাবে। বিজেপি অবশ্য সেই ভাবনা-চিন্তাও করছে। উইনিং কম্বিনেশন ভাঙার পক্ষপাতী নয় বিজেপি। মুকুল-কৈলাশ জুটি যে সাফল্য এনেছে, দিলীপের নেতৃত্বে রাজ্য বিজেপি যে কাজ করেছে, তাতে খুশি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তবুও বৃহত্তর স্বার্থে এই একটা বড় পরিবর্তন হলেও হতে পারে।
পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম
এছাড়া রাজ্য বিজেপিতে পরিবর্তনের সম্ভাবনা খুবই কম। দিলীপ ঘোষের কাঁধেই থাকছে নেতৃত্বভার। দিলীপের সক্রিয়তায় খুশি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। খুশি মুকুল-কৈলাশের চাণক্যনীতি প্রয়োগেও। এখন দেখার সদ্য তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা আর এক বড় নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের উপর কী দায়িত্ব বর্তায়।