দিলীপের পদত্যাগ জল্পনায় মুকুলের পর সরব কৈলাশও, সমীকরণ স্পষ্ট একুশের আগে
দিলীপ ঘোষকে দলের রাজ্য সভাপতি হিসাবে রেখেই বিজেপি ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
দিলীপ ঘোষকে দলের রাজ্য সভাপতি হিসাবে রেখেই বিজেপি ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অপসারণের রটনা খণ্ডন করে এই কথা জানিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক তথা বঙ্গ বিজেপির অন্যতম পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়।
সম্প্রতি বঙ্গ বিজেপিতে তীব্র জল্পনা চলছে দিলীপ ঘোষের রাজ্য সভাপতি থাকা নিয়ে। রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন)-এর পদ থেকে সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণের পরই দিলীপ ঘোষের পদত্যাগ জল্পনা শুরু হয়। এমনকী বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দিলীপ ঘোষকে রাজ্য সভাপতির পদ থেকে অপসারণের কথা বিবেচনা করতে পারে বলেও রটে যায়।
কিন্তু সেই সম্ভাবনা সমূলে বিনাশ করলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি বলেন, এই জল্পনা বা রটনা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বিভ্রান্তি ছড়াতে এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে সুপরিকল্পিতভাবে এই রটনা করা হচ্ছে। আমি স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই যে, পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি তার রাজ্য সভাপতি হিসাবে দিলীপ ঘোষকে রেখেই বিধানসভা নির্বাচন লড়বে। এ নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই।
দিলীপ ঘোষের সম্ভাব্য অপসারণ নিয়ে জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছিল বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ ইউনিটে। রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে অপসারণ করা হয়েছে এবং অমিতাভ চক্রবর্তীকে সেই পদে বসানো করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সুব্রত চট্টোপাধ্যায় দিলীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তার ফলেই জল্পনা বৃদ্ধি পায়।
বিজেপির এই সাংগঠনিক পরিবর্তন হয় দিলীপ ঘোষ এবং বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খানের মধ্যেকার বিভেদ নিরসনের পরদিনই। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এই পদক্ষেপ ফের একবার বিজেপির কোন্দলকে সামনে এনে দেয়। কেননা সৌমিত্র খানকে বিজেপির জাতীয় সহসভাপতি মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হয়। মুকুল রায় ও সৌমিত্র খান দুজনেই তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে আসেন।
কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র আগে মুকুল রায়ও দিলীপ ঘোষের পদত্যাগ নিয়ে চলা যাবতীয় জল্পনায় জল ঢেলে দেন। তাঁর কথায়, এসবই গুজব। দিলীপ ঘোষের অপসারণ নিয়ে গুজব রটনা করা হচ্ছে। এক শ্রেণির রাজনীতিকরা রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য এসব করছে। আর এক শ্রেণির মিডিয়া তা ফলাও করে প্রচার করছে।
মুকুল রায় বলেন, দিলীপ ঘোষই থাকবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁর নেতৃত্বেই ২০২১-এর ভোট লড়বে বঙ্গ বিজেপি। বিজেপি একটা সর্বভারতীয় দল। তার অনেক বাধ্য বাধকতা থাকে। সর্বভারতীয় নেতৃত্ব নিশ্চয় প্রয়োজন মনে করেছে, তাই সুব্রতবাবুর স্থলাভিষিক্ত করেছে অমিতাভ চক্রবর্তীকে। দিলীপ ঘোষই আমাদের সভাপতি। সেই একই কথা ধ্বনিত হল কৈলাশের কণ্ঠে।