মুকুলই হবেন বিজেপির বঙ্গ-বিজয়ের কারিগর! দিলীপ ফিরতেই 'জয়গান' শুরু
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সভা সেরে উঠে যেতেই মুকুল রায়ের জয়গানে মাতোয়ারা হল বিজেপি। আবার সেই গান গাইলেন কে? জয়গান গাইলেন খোদ কেন্দ্রীয় নেতা তথা বঙ্গ বিজেপির প্রধান পর্যবেক্ষক কৈলায় বিজয়বর্গীয়।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সভা সেরে উঠে যেতেই মুকুল রায়ের জয়গানে মাতোয়ারা হল বিজেপি। আবার সেই গান গাইলেন কে? জয়গান গাইলেন খোদ কেন্দ্রীয় নেতা তথা বঙ্গ বিজেপির প্রধান পর্যবেক্ষক কৈলায় বিজয়বর্গীয়। মুকুল বন্দনায় মুখরিত হয়ে তিনি জানিয়েই দিলেন ২০২১-এ মুকুল রায়ই হবেন বিজেপির বঙ্গ-বিজয়ের কারিগর।
দিলীপ চলে যেতেই মুকুল রায়ের বন্দনা
মেয়ো রোডে বিজেপির গণতন্ত্র বাঁচাও মঞ্চে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় উপস্থিত হওয়ার পরেই দিলীপ ঘোষ ফিরে যান। তারপরই মাইক্রোফোন হাতে মুকুল রায়ের বন্দনা গাইতে শুরু করেন কৈলাশ। তিনি ব্যাখ্যা করেন মুকুল রায় বাংলার চাণক্য। তিনি যেদিকে, জয়ও সেদিকে। অর্থাৎ বিজেপির জয় স্রেফ সময়ের অপেক্ষা পশ্চিমবঙ্গে।
কৈলাশের আস্থা মুকুল রায়ের উপর
কৈলাশের কথায়, মুকুল রায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এবার তিনিই সরাবেন তাঁকে। তিনি বাংলার রাজনীতিতে চাণক্য-সম। তৃণমূলের পর বিজেপিতেও তাঁকে চাণক্য মর্যাদা দেওয়ার পর কৈলাশ বিজয়বর্গীয় যে আস্থা প্রদর্শন করলেন মুকুল রায়ের উপর, তার মধ্যে তাৎপর্য খুঁজতে শুরু করেছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
দিলীপ ঘোষ নন, মুকুল রায়ই!
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ২০২১-এর ভোট বৈতরণী পার করতে মুকুল রায়ের উপরই ভরসা করছে বিজেপি। দিলীপ ঘোষ নন, মুকুল রায়ই একুশে বিজেপির জয় এনে দেবেন বলে মনে করছেন কৈলাশ। এদিন কৈলাশের মন্তব্যের পর ফেরপ একবার দিলীপ ঘোষ বনাম মুকুল রায় দ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিল বিজেপিতে।
দিলীপের মন্তব্যের 'জবাব' কৈলাশের!
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কয়েকদিন আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি একাই রাজ্যে পরিবর্তন আনতে পারেন। আর এখন বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক মনে করছেন, মুকুল রায়ই আসল লোক। যিনি বঙ্গ সংস্কৃতির মাড়ি বোঝেন। তিনিই বিজেপিকে সঠিক সময়ে সাফল্যের রাস্তা দেখিয়ে দেবেন। দিলীপের ওই কথার পরিপ্রেক্ষিতে কৈলাশের এই বার্তা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
মুকুল বনাম দিলীপ যুদ্ধ পরিস্থিতি
সম্প্রতি কৈলাশ বিজয়বর্গীয় যুবমোর্চার সাধারণ সম্পাদক পদে মুকুল ঘনিষ্ঠ শঙ্কুদেব পাণ্ডাকে ঢোকানোর চেষ্টা করছেন। দিলীপ ঘনিষ্ঠ প্রকাশ দাসকে সরিয়ে মুকুলের লোককে ঢোকানোর জন্য যে তদ্বির শুরু করেছেন, সেখানে বঙ্গ বিজেপি আবার দু-ভাগ হতে বাধ্য। মোট কথা যুব মোর্চার সাংগঠনিক রদবদল নিয়ে বিজে্পির সঙ্গে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, সেখানেও মুকুল বনাম দিলীপ যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।