মোদী চাইলে মমতা এড়াতে পারবেন না! বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক এই ব্যাপারে নিশ্চিত
বাংলায় এনআরসি নিয়ে ফের সরব হলেন বিজেপির রাজ্য পর্যবেক্ষক কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। তাঁর সাফ কথা বাংলায় এনআরসি হবেই।
বাংলায় এনআরসি নিয়ে ফের সরব হলেন বিজেপির রাজ্য পর্যবেক্ষক কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। তাঁর সাফ কথা বাংলায় এনআরসি হবেই। কেন্দ্র এনআরসি চাইলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা কিছুই করতে পারবেন না। সোমবার শিলিগুড়িতে দাঁড়িয়ে মমতার ভাষণের জবাবে ফের একবার গর্জে উঠলেন বিজেপির রাজ্য পর্যবেক্ষক।
মমতা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, দেশের প্রধানমন্ত্রী নন
মমতা বলেছিলেন, বাংলায় এনআরসি করতে দেব না, বাংলায় মাটিতে থাকা সবাই ভারতীয় নাগরিক। তার প্রত্যুত্তরে কৈলাশ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী নন। এনআরসি হবে কি হবে না, সেই সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রের সরকার। যদি কেন্দ্র এনআরসি করার সিদ্ধান্ত নেন, তবে কিছুই করার থাকবে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
বাংলা অনুপ্রবেশকারীদের প্রবেশদ্বার, এনআরসি জরুরি
তিনি বলেন, বাংলাই অনুপ্রবেশকারীদের মূল প্রবেশদ্বার। তাই এই সমস্যা নিয়ে আরও একবার সরব হয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, বাংলার সীমান্ত দিয়েই এ দেশে প্রবেশ করছেন বাংলাদেশী ও অন্যান্য দেশের নাগরিকরা। তাই বাংলায় এনআরসি হওয়া জরুরি। বৈধ নাগরিকদের খুঁজে নেওয়া আমাদের আশু কর্তব্য।
বাংলায় নয়, এনআরসি হবে গোটা দেশেই
তিনি আগেও এই কথা জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, শুধু বাংলায় নয়, এনআরসি হবে গোটা দেশেই। গোটা দেশেই জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকরণের দরকার। অন্যান্য সরকার এই ব্যাপারে আদৌ সচেষ্ট হয়নি। বিজেপি সরকার কেন্দ্রের আসার পর এনআরসি হল। এদিন মমতার সরকারকে পরিচ্ছন্ন বার্তা দেন এনআরসি করার।
নাগরিকদের বিদেশি বানানো আমাদের লক্ষ্য নয়
তিনি বলেন, নাগরিকদের বিদেশি বানানো আমাদের লক্ষ্য নয়, আমরা চাই বৈধ নাগরিকরা থাকুন আমাদের দেশে। তাই আগে নাগরিকত্ব বিল পাস করার পর এনআরসি করে অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানোর ব্যবস্থা করবে বিজেপি। প্রত্যেক হিন্দুকেই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। বিজয়বর্গীয় বলেন, একশ্রেণির মানুষ জনমানসে অপপ্রচার চালানোর চেষ্ট করছেন।
২০২১-এ তৃণমূলের আসনপ্রাপ্তি নিয়ে ফের মতবদল মুকুলের! নয়া ভবিষ্যদ্বাণীতে চর্চা